জট কাটিয়ে অবশেষে কাজ শুরু হল নসিপুর রেল সেতুর। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লালগোলা এবং হাওড়া-আজিমগঞ্জ শাখাকে রেলপথে জুড়ে দিতে বুধবার থেকে মুর্শিদাবাদের নশিপুর রেলসেতুর বাকি কাজ শুরু হল আনুষ্ঠানিক ভাবে ।
লালবাগ মহকুমা শাসক, জেলা ভূমি দপ্তর ও রেলের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এদিন লালবাগের নসিপুরের নিচু মাহিনগরে সীমানা চিহ্নিত করার পাশাপাশি জঙ্গল কাটার কাজ শুরু হয়। ৫০০ মিটার জায়গায় মাটি ভরাট করার কাজ শুরু হবে। রেলের কাজে বাধা বা কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিস আধিকারিকদের নেতৃত্বে নশিপুর ও মাহিনগরে তিন শতাধিক পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়। রেলের বাকি কাজ শুরু হওয়ায় খুশির হাওয়া জেলাবাসীর মধ্যে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ,আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে ট্রেনের চাকা গড়াবে।
লালবাগ মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ বলেন, রেল বাকি কাজ শুরু করেছে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“২০১৮ সালের পরে আবার কাজ শুরু হল। নতুন করে এই প্রজেক্টটাকে রিভাইভ করা হয়েছে।এদিন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশনের তরফ থেকে জেলা ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন অফিসার সহ রেলওয়েকে আবার জমিটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিক ভাবে ।
আরও পড়ুন – ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পৃথক তিনটি পরিবার
রেল কতৃপক্ষ জমি বুঝিয়ে নেওয়ার পর আবার কাজটা শুরু করেছে।
জেলা প্রশাষনের তরফে লালবাগ মহুকুমা শাষক সুদীপ ঘোষ জানান আমরা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। গ্রামবাসীদের সাথে আমরা রয়েছি। ওনাদের বিরুদ্ধে আমরা নয়। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা দেওয়া সম্ভব হবে সেটা আমরা নিশ্চয়ই ওনাদের জন্য করবো। জরুরি ভিত্তিতে জমি দাতাদের সকল কে ” ল্যান্ড লুজার সার্টিফিকেট” প্রদান করা হবে। সেই ল্যান্ড লুজ্জার সার্টিফিকেট নিয়ে যদি তারা চাকরিতে অ্যাপ্লাই করেন তাহলে ওনারা একটা ইসি কার্ড পাবেন। সেই ইসি কার্ডে একটা স্পেশাল সুবিধা পাওয়া যাবে.। বিভিন্ন চাকরি সরকারি চাকরিতে করার জন্য।
সরকারি কোটা থেকে। সার্টিফিকেটটা পেলেও ইসি কার্ড নিয়ে ওনারা অ্যাপ্লাই করতে পারবেন বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য এবং সেই সুযোগ সুবিধাটা পাবেন এছাড়াও আমরা ওনাদেরকে বলেছি ওনাদের যা দাবি আছে আমরা সেগুলো দেখেছি যতটা পারবো আমরা নিশ্চয়ই দেখছি যেটা করছি এবং সবার সহযোগিতা নিয়ে আশা করছি এবার কাজটা আমরা শেষ করতে পারবো। তিনি আরো জানান জমিটা পুরোটাই আমাদের পেয়ে গেয়েছিলাম. আগের থেকেই নিয়ে নেওয়া ছিল. শুধু কিছু লোকের বাধা ছিল চাকরির দাবীতে।
রেল আধিকারিক বলেন ভাগীরথী নদীর উপরে ২০১০ সালের মে মাসে সেতুর কাজ কমপ্লিট হয়েছে। চাকরির দাবিতে সেই কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। বর্তমানে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে জেলা প্রশাষন তারা সহযোগিতা করছে।
রেল সেতুর কাজ শেষ করতে রেল সেতুদের ট্রেন চালাতে এলাকার মানুষদের সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন রেলের কর্তা।