ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে,আর বেশিদিন নেই,হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে শুক্রবার দুপুরে “পুলিশ কমিশনারেট চলো” ডাক দেওয়া হয়।ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বোমাবাজি, খুনখারাপি,লুঠ, বেআইনি মাদক ব্যবসা সহ দলীয় কর্মীদের ওপর লাগাতার সন্ত্রাস ও নির্যাতন এবং সর্বোপরি পুলিশি নিষ্কৃয়তার প্রতিবাদে এদিন জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে “কমিশনারেট চলো” কর্মসূচি সংগঠিত করা হয়।
এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এদিন ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে একটি সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে চিড়িয়ামোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়। এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র,জেলা সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি,কনভেনর অমিতাভ রায়, কিশোর কর,কুন্দন সিং, আবিষ্কার ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। এদিনের সভা থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন,এ,রাজ্যের পুলিশ তৃনমূলের পদলেহন করছে কোন লজ্জাবোধ নেই।
এই ধরনের পুলিশ যদি অন্য রাজ্যে থাকত,তাহলে এতদিনে সাসপেন্ড হয়ে যেত। পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে তার মন্তব্য, জনগনের টাকায় আপনাদের মাহিনা হয়, ব্যানার্জি পরিবারের টাকায় হয়না। আপনারা যদি না পারেন সরে যান। ১৫ মিনিটে তৃনমূলকে সাফ করে দেব। তিনি আরও বলেন,বাংলায় পুলিশকে তৃনমুলী গুন্ডারা গুলি করছে। এর জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – সুন্দরবন পরিদর্শন নিয়ে প্রচার চায়নি তৃণমূল
রাজ্যের শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। আর বেশিদিন বাঁকি নেই। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যেশ্যে তার বার্তা ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই কম্বল বিতরণ করেছেন। ওনার ভাইপো এখন শ্যামা সঙ্গীত গাইছেন। কারন উনি সম্প্রতি ইডির সমন পেয়েছেন। তৃনমূল সরকারকে আক্রমন করে তার দাবি,এই সরকার চোরেদের সরকার,লুঠেদের সরকার। আগামী ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যদি বিধানসভা নির্বাচন হয়,তাহলে এই সরকারকে উৎখাত করে ছাড়ব।
সুকান্ত বাবুর কথায় আগামী দিনে তৃনমূলের আরও অনেক নেতা জেলে পঁচবে। কেউ কিছু করতে পারবে না। দুপক্ষের মধ্যে খেলা হলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এদিনের সভামঞ্চে নৈহাটি পুরসভা অভিযানে তৃনমূলের হাতে আক্রান্ত যুব মোর্চার নেত্রী জিনিয়া দে সহ চারজন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সাতজনের বিজেপি প্রতিনিধি দল ব্যারাপুর কমিশনারেট অফিসে গিয়ে একটি স্বারকলিপিও জমা দেন।