মালদহে জাল ওষুধ পাচার চক্রের হদিস,আটক ৫। মালদহে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে জাল ওষুধ পাচার চক্রের হদিশ মিলল। শহরের বুকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল বেআইনি ওষুধের ব্যবসা বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আধিকারিকরা ঐ ভাড়াবাড়ির ঘরে ঢুকে রীতিমতো তাজ্জব হন।ঘরের ভেতরে সারি সারি সাজানো ওষুধের বড় বড় পেটি। মালদহ শহরের বুকে বাঁশবাড়ি এলাকায় চলছে বেআইনি ওষুধের কারবার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার করা ওষুধের মধ্যে সব থেকে বেশি মজুত ছিল ঘুমের ওষুধ ও ব্যাথার ওষুধ। ঘটনায় বাড়ির মালিক সহ ৫ জনকে আটক করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। জানা যায় ধৃতদের নাম টুলু শেখ, শাহিন শেখ, জাবেদ আখতার এরা সকলেই পুরাতন মালদহ থানার মঙ্গলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। অপর অভিযুক্ত জিয়াউল শেখের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাঁশবাড়ির আজাদ শেখের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। কলকাতা থেকে মূলত বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ট্যাবলেট এবং ব্যথার ট্যাবলেট বড় বড় পেটিতে করে মালদহের ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হত । তারপরে প্যাকেট খুলে সেই ওষুধগুলি নতুন প্যাকেট করা হত।
আরও পড়ুন – নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিল শিবিরে সুখবর
এদিন পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা বাড়ির সামনে জড়ো হন । স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এ আজাদ শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকা ঐ ব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে বড় বড় পিচবোর্ডের প্যাকেট নিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কেউ গুণাক্ষরেও জানতে পারেন। পুলিশ এদিনের অভিযানে সকলেই বুঝতে পারেন এখানে জাল ওষুধের কারবার চলছে।
সকাল ন’টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। অভিযুক্তদের কথাবার্তায় কোন সামঞ্জস্য না থাকায় পুলিশের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। কী কারণে এত বিপুল পরিমাণ ঘুমের ওষুধ ও ব্যথার ওষুধ মজুত রাখা হয়েছিল এবং সেটি প্যাকেট বদল কেন হত, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে জাল ওষুধ চক্রের বড়সড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের। যদিও বাড়ির মালিকের দাবি বেআইনি ওষুধের কারবারের ব্যাপারে তার কিছুই জানা ছিল না।