নবচৈতন্যের গৃহে শ্রীরামকৃষ্ণের পদার্পণ উৎসব। ১৪০ বছর আগে কোন্নগরের ভক্ত প্রাণ নব চৈতন্য মিত্রের বাড়িতে পদার্পণ করেছিলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব । সেই স্মৃতি কে, সেই ভাবধারাকে এ। অক্ষুন্ন রাখতে শনিবার সকাল থেকে এই পরিবারের মানুষজন এবং ঠাকুরের ভক্তরা মেতে উঠেছিলেন রামকৃষ্ণ বন্দনায়। স্থানীয় অমৃত লাল ব্যানার্জি লেনের মিত্র বাড়িতে ছিল উৎসবের পরিবেশ।
বাড়ির প্রতিটি কোনায় কোনায় ঠাকুরের আগমন স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। এদিন হোম যজ্ঞ র সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের বিশেষ পূজা অর্চনা হয়। মিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে দুপুরের প্রসাদ পরিবেশন করা হয়। বিকালে ছিল ভক্তিমূলক গানের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে এক ভক্ত জানালেন যখন শ্রীরামকৃষ্ণ দেব দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে থাকতেন সেই সময় কোন্নগর থেকে বহু ভক্ত তার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, এদের মধ্যে ছিলেন নব চৈতন্য মিত্র । তিনি অত্যন্ত ভালো কীর্তন গাইতেন।
আরও পড়ুন – নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিল শিবিরে সুখবর
ঠাকুরের অনুরোধে তিনি বহুবার ঠাকুরকে কীর্তন শুনিয়েছিলেন নব চৈতন্য মিত্র। নব চৈতন্য বাবুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৮৮২ সালের আজকের দিনে দক্ষিণেশ্বর থেকে থেকে শ্রীশ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ তার বাড়িতে পদধূলি দিয়েছিলেন। এরপর এরপরও বহু বার ঠাকুর এখানে এসেছেন। পরবর্তীকালে নব চৈতন্য মিত্র সংসার ত্যাগ না করেও সন্ন্যাস জীবন যাপন করতেন এবং সমস্ত মোহ ত্যাগ করে তিনি কোন্নগর এর পঞ্চু দত্তের ঘাটে বাকি জীবনটা কাটিয়েছিলেন। এখানে স্বামী বিবেকানন্দ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
স্বামী সারদানন্দ রামকৃষ্ণ লীলা প্রসঙ্গ বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ঠাকুর কতটা আশীর্বাদ করেছিলেন নব চৈতন্য বাবু ।কে আজকের অনুষ্ঠানটি এই বংশের বর্তমান বংশধর সমরেন্দ্রনাথ মিত্র অমরেন্দ্রনাথ মিত্র এবং রনেন্দ্রনাথ মিত্র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় , বর্তমান প্রজন্মের পরিবারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভক্ত প্রাণ মানুষরা যাতে ঠাকুরের বিভিন্ন স্মৃতি প্রত্যক্ষ করতে পারেন তার জন্য প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা বারোটা এবং বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত উন্মোচিত থাকবে রামকৃষ্ণের স্মৃতি ধন্য বাড়িটি ঠাকুরের অগণিত ভক্তদের জন্য।