রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্য ভান্ডার বাড়াতে উদ্যোগ নিল বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ। রয়্যাল বেঙ্গলের খাদ্য ভান্ডার বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ। মূলত রয়াল বেঙ্গল টাইগারের প্রিয় খাদ্য চিতল হরিণ আনার বিষয়েই প্রাথমিক কথা হয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি গুলোর সাথে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের কোর জঙ্গলে ইতিমধ্যেই তিনটি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি থেকে তিন ধাপে প্রায় সাড়ে পাঁচশ চিতল হরিণ এনে ছাড়া হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই বক্সার জঙ্গলে এই মুহুর্তে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্যের ঘাটতি হবার কথা নয়।এছাড়াও এই রিজার্ভ ফরেষ্টে রয়েছে বুনো শূয়র,বাইসন সহ অন্যান্য তৃনভোজি প্রাণী।বনদপ্তরের অনুমান অনুযায়ী বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার রয়েছে।তথাপি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্যের চাহিদার বিষয়ে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ কোন রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না।তাই বক্সার জঙ্গলে বাঘের খাদ্য ভান্ডার ঠিক রাখতে তৎপর হয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
মাত্র এক বছর আগেই বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে বনদপ্তরের পাতা ট্রাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি পায় বনদপ্তর। তার পরেই রাজ্য বনদপ্তর বাঘ দর্শনের ঘটনায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। গত এক বছরে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ বিভূতিভূষন ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি , বল্লভপুর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি এবং রামানা বাগান ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি থেকে সাড়ে পাঁচশ চিতল হরিণ এনে বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের এফডি অপূর্ব সেন বলেন বক্সার জঙ্গলে রয়াল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য মাংসাশী বন্যপ্রাণীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তৃনভোজী প্রাণী রয়েছে। অন্যদিকে তৃনভোজী প্রাণীদের যাতে খাদ্যের অভাব না হয় সেদিকে নজর রেখে বক্সার জঙ্গলে তৃনভূমি বাড়ানো হচ্ছে।এফডি বলেন, বক্সা জঙ্গলে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ছাড়াও বাঘের ফুট প্রিন্ট এবং বিষ্ঠা পাওয়া গেছে।
বক্সার জঙ্গল গভীরতা এবং অন্যান্য দিক থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আদর্শ বিচরণ ভূমিতে পরিনত হয়েছে।তাই আমরা চাইছি এই জঙ্গলে বাঘেদের খাদ্য ভান্ডার আরও বাড়িয়ে তুলতে।সে কারণেই আমরা বিভিন্ন ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির সাথে কথা বলেছি। যাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্যের কোনও ধরনের অসুবিধা হয়।