দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জাতীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা। জাতীয় পতাকা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিনব ভাবে আন্দোলনে নামল বড়শোলমারি গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিল তারা। দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের বড়শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রামের বাসিন্দাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন গ্রামের বাসিন্দাদের নারায়ণ চন্দ্র রায়,অবিনাশ বর্মণ, সুশীল চন্দ্র রায়, অপূর্ব রায়, আনোয়ার হোসেন মিয়া প্রমূখ। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে রাস্তার কাছ থেকে শুরু করে সোলার লাইট সহ বিভিন্ন অভিযোগ একের পর এক তুলে ধরেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দারা নানা দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। গ্রামের বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভ ডেপুটেশন ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা ও ছিল যথেষ্ট। বিক্ষোভ চলাকালীন এক প্রতিনিধি দল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিশা রায়ের সাথে দেখা করে তার হাতে ১১ দফা দাবি পত্র তুলে দেন।
গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে দাবি পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আবাস প্লাস যোজনায় ঘরের নামের তালিকায় নানা রকম দুর্নীতি শুরু হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সোলার লাইট বসানোর জন্য খুঁটি বসানো হলেও এখনও লাইট লাগানো হয়নি। সোলার লাইট নিয়ে বেশ কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। হিম পাইপ নিয়ে যেমন দুর্নীতি রয়েছে তেমনি এলাকার রাস্তা নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বাসিন্দাদের অবিনাশ বর্মন, অপূর্ব রায় জানান, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালে চলতি মাস পর্যন্ত বিগত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বর্তমান যিনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রয়েছেন তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন নিয়ে একাধিক দুর্নীতি যুক্ত রয়েছে। গ্রামের মানুষ সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। দিন কয়েক আগে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের আধিকারিক কে হেনস্তা করা হয়। তারপর থেকে সে অফিসে না আসায় গ্রামের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রকম পরিষেবা পেতে অফিসে এলে ও তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।
আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সাথে যুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবিগুলির যথাযথ উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গ্রামের মানুষ সব রকম পরিষেবা থেকে যেমন বঞ্চিত তেমনি সরকারি কোনরকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিশা রায় জানান, গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে যে অভিযোগগুলি তুলে ধরা হয়েছে সেসব অভিযোগের উত্তর আগামী ২২শে ডিসেম্বর যথাযথভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।