তৃণমূলের মঞ্চে সংবর্ধনা পেল বর্ধমানের ট্রাফিক ওসি,বিতর্ক। কর্তব্যরত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কর্মসূচিতে সংবর্ধনা নেবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল বর্ধমানের ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইনের বিরুদ্ধে। বর্ধমান গোলাপবাগ ট্রাফিক পোস্টে ও.সি হিসাবে বিশ্বনাথ পাইনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।অবশ্য তিনি এই অভিযোগ স্বীকার করেন নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড় এলাকায় খাগড়াগড় তৃণমূল কংগ্রেস ও খাগড়াগড় যুব সংঘের পক্ষ থেকে একটি মশারি বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সেখানে বিধায়ক খোকন দাস, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা হাজির ছিলেন। এখানেই একটি ভিডিওতে ট্রাফিক ও সি বিশ্বনাথ পাইনকে সম্বর্ধনা নিতে দেখা যায়।
তিনি পুলিশের পোশাকেই ছিলেন। এনিয়ে বিতর্কে তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান,এ রাজ্যের পুলিশ মমতা পুলিশে পরিণত হয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসের মত আচরণ করছে। আমাদের দাবি, পুলিশের একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে কোন রাজনৈতিক মঞ্চে উঠে দলীয় সম্বর্ধনা গ্রহন অন্যায় এবং সংবিধান বিরোধী। এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন – কুলিকের ছবিতে সাজবে রায়গঞ্জ রেলস্টেশন
অন্যদিকে জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দারের দাবি, এ রাজ্যে পুলিশের পোশাকের নিচে তৃণমূলের দলীয় পতাকা রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া যেমন এরাজ্যে পুলিশ কোন কাজ করে না, তাই পুলিশের পোষাক পরে তৃণমূলের অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্বর্ধনাগ্রহন করবে এ আর নতুন কথা কি? এই কাজ নিয়মের বাইরে। এই ধরনের ক্রিয়াকলাপ আইনের আওতায় আসা উচিত। তবে অভিযুক্ত ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইন অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার বক্তব্য, ওটা একটা ক্লাবের কর্মসূচি ছিল বলেই তিনি জানতেন। তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওখানে ছিলেন। সেইসময় তাকে অনুরোধ করায় সামান্য সময় সেখানে ছিলেন। দলের কর্মসূচি বলে সেখানে যান নি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। তবে ওই ঘটনায় ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইন কে শো-কজ করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।