হর্নবিলের টানে বক্সার জঙ্গলে ছুঁটে আসছে পর্যটকদের দল। বক্সার গর্বের পাখি হর্নবিলের টানে বক্সার জঙ্গলে ছুঁটে আসছে পক্ষী প্রেমী পর্যটকদের দল। আচমকাই বক্সার জঙ্গলে অহরহ দেখা মিলছে তিন প্রজাতির হর্নবিল।এমনকি গভীর জঙ্গলের এই সুন্দরী পাখিটি মাঝে মধ্যে পথ ভুল করে চলে আসছে শহরাঞ্চলের দিকেও।শহরের অনেক পক্ষী প্রেমীর নজরে পড়েছে কমলা লম্বা ঠোঁটের এই পাখিটির।
পক্ষী প্রেমীদের মতে করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের পরবর্তী সময়ে জঙ্গলের পরিবেশ অনেকটা ভালো হবার সুবাদেই গভীর জঙ্গলের এই পাখিটির অহরহ দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
বেশির ভাগ পাখি প্রেমী পর্যটক তাদের অত্যাধুনিক ক্যামেরায় হর্নবিল পাখির ছবি তাদের ক্যামেরা বন্দী করতে চায়। কিন্তু এবছর অহরহ হর্নবিলের দেখা মেলায় হর্নবিল পাখির ছবি তাদের ক্যামেরা বন্দী করতে অসুবিধা হবে না বলে আশাবাদী বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে মূলত পাঁচ প্রজাতির হর্নবিল দেখতে পাওয়া যায়।
এই হর্নবিল গুলো হলো, ইন্ডিয়ান পায়েড হর্নবিল, রিথেড হর্নবিল, গ্রেট হর্নবিল,রুপাস হর্নবিল, গ্রে হর্নবিল।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে এই কমবেশি এই পাঁচ প্রজাতির হর্নবিল পাখির দেখা মেলে।
তবে বক্সা টাইগার রিজার্ভে সবচেয়ে বেশি ইন্ডিয়ান পায়েড হর্নবিল পাখির দেখা মেলে।
ছাড়াও এই জঙ্গলে আকছার দেখা যায় রিথেড এবং গ্রেট হর্নবিল।
আগে এই হর্নবিলের দেখা পেতে পক্ষী প্রেমী পর্যটকদের যেতে হতো বক্সার দূর্গম পাহাড়ে।
এর মধ্যে সদর বাজার,লালবাংলো, তাসিগাঁও,লেপচাখার মতো দূর্গম পাহাড়ি এলাকায়।এই হর্নবিলের ছবি ক্যামেরা বন্দী করতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো পক্ষী প্রেমী মানুষদের।
এই হর্নবিল পাখি গুলোর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বেশি সুন্দর পাখি হলো রিথেড হর্নবিল।
হিমালয়ান নেচার এন্ড এ্যডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন করোনার পরবর্তী সময়ে গত এক বছরে জঙ্গলের পরিবেশ সুস্থ হয়েছে।তাই বিপন্ন তালিকাভুক্ত এই হর্নবিল লোকালয়ের আশেপাশে দেখা মিলছে।
কিন্তু পরিবেশ ফের বিষাক্ত হলে তাঁরা আবার গভীর জঙ্গল এবং পাহাড়ের উপরে চলে যাবে।