ডিজিটালাইজেশনের পথে গৌড় মহাবিদ্যালয়। ডিজিটালাইজেশনের যুগে কাগজের ব্যবহার একটি অপচয়। তাই খাতা-কলমের ব্যবহার নয়, এখন থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করবে ডিজিটাল মাধ্যমে। নিউ মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে এই প্রথম গৌড় মহাবিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম বর্ষের ছাত্র- ছাত্রীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট কলেজ ইমেল জমা করেছে।
তারা জানিয়েছে ,মহামারী কোভিডের সময়কাল থেকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে থাকলেও পুরোপুরি ভাবে নিউ মিডিয়াকে কাজে লাগাতে তারা পারেনি। কিন্তু এইবার তারা পুরোপুরি কাগজ বিহীন। এ বিষয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপিকা নাফিসা খান লোদী বলেন,কোভিডের সময় থেকে আমরা সব কাজ ডিজিটাল মাধ্যমেই করেছি। ছাত্র ছাত্রীরা কাগজ-কলমের ব্যবহার করে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট লিখে ইমেলে পাঠাতো।
তাই আমরা ভেবে দেখলাম যে আমরা যখন ডিজিটাল মাধ্যমে করছি তো কেন শুধু শুধু কাগজের অপচয় করবো। তাই নিউ মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণই ডিজিটাল করা হয়েছে। এবং আমরা কোভিডের সময় শিখেছি, সবকিছুই সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। আরই প্রথম একটি পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। যেটা আমাদের অনেকদিন আগেই করা উচিত ছিল, কিন্তু আমরা করে উঠতে পারিনি। কিন্তু এখন থেকে আমরা পুরোপুরিই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করবো।
আরও পড়ুন – মরক্কোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া
এতে আমাদের গাছ সংরক্ষণ হচ্ছে, কাগজ অপচয় বন্ধ হয়েছে, টাকা খরচ হচ্ছে না। কারণ তারা যে কাগজ গুলিতে লিখে আমাদের জমা করত সেগুলো দেখে নেওয়ার পর আর কোন কাজেই আসত না। এতে কাগজের অপচয় হতো। আর তারা যে টাকা দিয়ে কাগজ কিনত সেটা তাদের আর কিনতে হচ্ছে না। ডিজিটাল মাধ্যম হয়ে অপচয়গুলি বন্ধ হয়েছে। আর ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনে তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ।
সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, তারা খুব আনন্দ ও উৎসাহিতার সাথেই তাদের এইবারের অ্যাসাইনমেন্ট গুলি সম্পূর্ণ করেছে। কারণ সম্পূর্ণ ডিজিটাল মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট করতে তাদের খুব একটা সময় লাগেনি। আর ভুল হলেও সেটাকে সংশোধন করতে তাদের কোন হোয়াইটনার ব্যবহার করতে হয়নি। ও কলেজে না এসেই সেটা খুব সহজেই জমা দিতে পেরেছে। আর তারা খুব লাভবান হয়েছে বলেও জানিয়েছে। কারণ তারা অনেক নতুন অ্যাপসের ব্যবহার শিখেছে। ও ডিজিটাল মাধ্যমে যে এত সহজেই পড়াশোনা করা যায় তা জানতে পেরে তারা খুব আনন্দিত।