বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা

বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা। সব অপেক্ষার অবসান। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফ্রান্সের সামনে সুযোগ টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতার। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার সামনে সুযোগ দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানো।

ফাইনালে ৪-৩-৩ ফরমেশনে শুরুর একাদশ সাজিয়েছে আর্জেন্টিনা। শুরুর একাদশে ফিরেছেন চোট কটিয়ে ওঠা ডি মারিয়া। সেই সঙ্গে আক্রমণে আছেন লিওনেল মেসি ও জুলিয়েন আলভারেজ। একই ফরমেশনে একাদশ সাজিয়েছে ফ্রান্সও। তাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের আভাস।

 

এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফেভারিটের তকমা নিয়ে আসা আর্জেন্টিনা হোঁচট খায় প্রথম ম্যাচে। এরপরের যাত্রাটা ছক কষে, বুঝেশুনে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের যাত্রাটা অবশ্য মসৃণ, ফাইনালে এসেছে চ্যাম্পিয়নের মতোই।

ফাইনালের লড়াইটা হবে সেয়ানে সেয়ানে। ডাগআউটে দুই মাস্টারমাইন্ড লিওনেল স্কলোনি ও দিদিয়ের দেশম আছেন, যারা ধরতে পারেন প্রতিপক্ষের স্নায়ুকে! পড়তে পারেন আক্রমণের ভাষা, রক্ষণের নিরবতা। যদি সবুজ আয়তক্ষেত্রে ঢুকি, রক্ষণ থেকে আক্রমণ, মাঝখানে মধ্যমাঠ; সর্বত্র ভারসাম্য দুই শিবিরেই।

 

আর্জেন্টিনার অপেক্ষা দীর্ঘ ৩৬ বছরের। ৩৫ বছর বয়সী লিওনেল মেসির আক্ষেপ আরও বড়। এক জীবনে যা যা জেতার, তারচেয়ে ঢের বেশি জিতেছেন। তবু অতৃপ্তি, একটি বিশ্বকাপ নেই। সেই বিশ্বকাপ পেতে যতটা করতে হয়, ঢের বেশি করেছেন। ৬ ম্যাচে ৫ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট, ৪ ম্যাচসেরায় আছেন গোল্ডেন বুট ও বল, দু’টোর দৌঁড়েই।

আরও পড়ুন – মরক্কোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া

মেসির মোক্ষম জবাব কিলিয়ান এমবাপ্পে। এমবাপ্পের বয়স সবে ২৩। বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেছেন আগেরবার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা জানানো এমবাপ্পে এবার আরও পরিণত। ৫ গোল, ২ অ্যাসিস্ট, ৩ ম্যাচসেরায় আলবিসেলেস্তেদের সবচেয়ে বড় হুমকি তিনিই।  এবার লড়াই কেমন হয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

দুর্দান্ত মধ্যমাঠ আছে উভয় দলেরই। আছে ইস্পাত-দৃঢ় রক্ষণভাগ। আক্রমণে মেসি-এমবাপ্পেকে সঙ্গ দিতে আছেন আলভারেজ, জিরুডরা। মাঝমাঠে ডি মারিয়া যেমন হুমকি, তেমনি ফরাসি শিবিরে আছে আন্তোইন গ্রিজম্যান, যিনি এই আসরে বনে গেছেন পুরোদস্তুর মিডফিল্ডার। তেকাঠির নিচে তো পরীক্ষীত হুগো লরিস আর এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আছেনই।

 

তবে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা দিতে হবে রক্ষণভাগকে। অন্তত বিশ্বকাপে দুই দলের শেষ লড়াই সেটিই বলে। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারায় ফ্রান্স। ৭ গোলের ধুন্ধুমার লড়াই দেখে ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও, সেই পরিসংখ্যান এখন কেবলই সংখ্যা মাত্র। নামতে হয়েছে শূন্য থেকে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top