Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীর গুলিতে আহত পুলিশকর্মী

শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীর গুলিতে আহত পুলিশকর্মী

শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীর গুলিতে আহত পুলিশকর্মী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীর গুলিতে আহত পুলিশকর্মী। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনার জেরে আতঙ্কের বাতাবরন শহর শিলিগুড়িতে। আততায়ীর আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন আইসি তবে গুলিবিদ্ধ হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনার পর থেকেই বিরোধীদের মন্তব্যে বিদ্ধ শাসকদল। গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত।

মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী। তিনি জানান, অভিযুক্ত রাজ পান্ডে, সে বিহারের বাসিন্দা। প্রতারণার অভিযোগে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। সোমবার তার হদিস পায় পুলিশ। তাকে জেরা করতে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রথমদিকে তার ওপর ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে সে। তদন্তের স্বার্থে তাকে নিয়ে তার একটি ফ্ল্যাটে গেলে সেখানে পুলিশের থেকে পালিয়ে যেতে সে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তা কেড়ে নিতে গেলে সে গুলি চালায়।

 

তার ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান প্রধান নগর থানার আইসি কিন্তু গুলি লাগে প্রধাননগর থানার সাব ইন্সপেক্টরের। গুরুতত আহত হন তিনি। সাব ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ সরকারের পায়ে গুলি লাগে। শুধু তাই নয়, পুলিশকর্মীরা অভিযুক্ত রাজ পাণ্ডের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কাড়তে গেলে হাতাহাতিতে একটি গুলি গিয়ে রাজ পান্ডেরও পায়ে লাগে এবং সেও আহত হয়। এরপর আহত অবস্থায় দুইজনকে মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

 

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাজ পান্ডে বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, বিহারের ডেপুটি কালেক্টরের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রধাননগর এলাকায় আফগাড়ির লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার নামে ৭ লক্ষ টাকা নেয় সে, এমনই অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয় প্রধাননগর থানায়। সেই অভিযোগের তদন্তে নামে প্রধাননগর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রধাননগর থানার পুলিশ জানতে পারে সোমবার রাজ পান্ডে দাগাপুর এলাকার কোন একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে। এরপর সোমবার প্রথমে অভিযুক্ত রাজ পান্ডেকে গোয়েন্দা দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ এর প্রথম পর্যায়ে যদিও রাজ পান্ডে স্বীকার না করলেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গোয়েন্দা দফতরের পুলিশ আধিকারিকদের কাছে স্বীকার করে যে সরকারি আধিকারিক হিসেবে সেই ভুয়ো পরিচয় দিত।

 

শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য একটি নাগাল্যান্ডের লাইসেন্স তৈরি করেছিল সে। আর এই আগ্নেয়াস্ত্র এবং আই কার্ড উদ্ধার করার জন্য সোমবার রাতে রাজ পান্ডেকে সঙ্গে নিয়ে দাগাপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালাতে যায় প্রধাননগর থানার পুলিশ।অভিযানের সময় প্রধাননগর থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্যও ছিলেন।রাজ আইসিকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে কোনক্রমে প্রাণে বাঁচেন আইসি। তবে সাব ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ সরকারের পায়ে গুলি লাগে। অভিযুক্তের ছোড়া গুলিতে সে নিজেও জখম হয়েছে। জখম সাব ইন্সপেক্টর বর্তমানে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চর্তুবেদী।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপ ফাইনালে দীপিকার ট্রফি উন্মোচনের কারণ

এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনটি আন্তর্জাতিক ও একাধিক ভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁসা উত্তরবঙ্গের প্রধান শহর শিলিগুড়িতে এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়,এর আগেও ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতিদের দাপট লক্ষ্য করা গেছে। অপরাধ কায়েম করে পালিয়ে গেছে অনেক অপরাধি, তবে তা কখনোই সহ্য করার কথা নয়। এমন ঘটনা, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সুযোগ অপচয় করতে রাজি নয় বিরোধীরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, অপরাধীরা আজকে এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে পুলিশকে গুলি করবার সাহস করছে। এই সাহস আসছে অপরাধীরা দেখছে পুলিশকে ব্যবহার করে শাসক দল যা খুশি তাই করছে। আর সেই কারণেই পুলিশের উপর ভয় উঠে গেছে বলেই এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। শক্তহাতে পপরিস্থিতি মোকাবিলা করা না হলে বিপদ বাড়বে।

 

দার্জিলিং জেলার সিপিআইএম সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকলেই ভীষণ উদ্বিগ্ন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন গোটা শিলিগুড়ি শহর অপরাধীদের হাতে চলে গিয়েছে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পুলিশও সুরক্ষিত নয়। আর এই সমস্ত শাসক দলের জন্য। তাদের মদতে এই অপরাধী চক্র তৈরি হয়েছে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

 

এমন ঘটনা অবাঞ্চিত, তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারছে না এমন কথা বলার কোন মানে নেই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্তর। তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুলিশের যত প্রশংসাই করা যায় তত কম। শিলিগুড়িতে যত অপরাধ সংগঠিত হয় তা বিশেষ করে শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যের অপরাধীরা এসে অপরাধ সংগঠিত করে। তবে পুলিশ যেভাবে অপরাধ দমনে সচেষ্ট তা নিয়ে সমালোচনা না করে প্রশংসা করা উচিত। তিনি বলেন বাম জমানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা ভাবলে ভয় লাগে এখনও। শিলিগুড়িতে যথেষ্ট শান্তি বিরাজ করছে পুলিশ নিজের কাজও করছে দুই একটি ঘটনা ঘটলে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top