মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রাণতোষ পাল

মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রাণতোষ পাল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রাণতোষ পাল। আবারও সফলতার পালক জুড়ল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মেক্সিকোর এজটেকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান (ফেলো অফ এজটেকা ইউনিভার্সিটি) সম্মান পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ প্রাণতোষ কুমার পাল।

 

প্রসঙ্গত ২০২০ সালে তিনি ডঃ অগাস্টিন ওয়া ইন্টারন্যাশনাল পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মনোনয়ন পত্র পান এবং প্রথমে তিনি গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ফেলো অফ এজটেকা ইউনিভার্সিটির তকমা পান তার পোস্টডক্টরাল গবেষণার কৃতিত্ব স্বরূপ। বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্সে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অস্থায়ী উপাচার্য অধ্যাপিকা সঞ্চারী রায় মুখার্জি আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মনোনয়ন পত্র তুলে দেন অধ্যাপক পালের হাতে।

 

এমন সম্মাননা পেয়ে ভীষণ খুশি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখার্জি। উপস্থিত ছিলেন বর্তমান রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা সঞ্চারী রায় মুখার্জী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কালিশংকর তিওয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ দুর্লভ সর্কার এবং অন্যান্য অধ্যাপক এবং আধিকারিকরা। এরপর উপাচার্য বলেন, এজটেকা বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় চল্লিশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এই ইউনিভার্সিটিটি সারা বিশ্বে অন্যতম সেরা। আজকে অধ্যাপক পালের জন্য আমরা গর্বিত। আগামী দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মৌ স্বাক্ষর করার চেষ্টা করতে পারলে আমাদের পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।

 

জানা গেছে, ফেলো অফ এজটেকা ইউনিভার্সিটির সম্মানটি আসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডঃ অগাস্টিন ওয়া ইন্টারন্যাশনাল পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রামটিতে নির্বাচনের মাধ্যমে। এই ইন্টারন্যাশনাল পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যেমন গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসে স্ববেতন রিসার্চের সুযোগ পান তেমনি বিশবিদ্যালয়ের তরফে ডিস্টিংগুইসেদ রিসার্চারদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্থাৎ ডক্টর অফ সাইন্স (DSC) ডিগ্রিতে সুযোগ দেওয়া হয়। এদিন অধ্যাপক পাল জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পর পোস্টডক্টরাল সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য দুটো সুযোগই পান।

 

অধ্যাপক পাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পের পরিবর্তে, অত্যাধিক সম্মানীয় ডক্টর অফ সাইন্স বা (DSc) ডিগ্রির প্রকল্পটি কে বেছে নেন এবং এই বছর ২০২২ সালে (DSC) ডিগ্রির থিসিসটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করেন। তিনি বলেন, এই থিসিসটিতে মোট ৭৫ টি গবেষণা পত্র সংযোজিত আছে। অতিসম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিগ্রীটি পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কনভোকেশনে যোগ না দিতে পারায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ফেলো অফ এজটেকা ইউনিভার্সিটি’ ও সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি ‘ডক্টর অফ সাইন্স ডাক যোগে পাঠায়।

আরও পড়ুন – মহাসমারোহে শুরু হল অষ্টম বর্ষ পানিহাটি উৎসব ও বইমেলা

অধ্যাপক পাল আরও বলেন, আমার এই (DSC) ডিগ্রি পেয়েছি ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিষয়ে। এক্ষেত্রে আমার ২০১৬ সাল পরবর্তী পোস্টডক্টরাল কাজগুলিকে এই থিসিসের অন্তর্ভুক্ত করি। মোট ৭৫ টি গবেষণা পত্রকে এই থিসিসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। থিসিসের মূল বিষয় ছিল ইনফরমেশন সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডাটা ও অন্যান্য প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তার সুযোগ।

 

অধ্যাপক পালের কথায়, ইনফরমেশন সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে এই ডিগ্রির অধিকারী রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় তথা পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতবর্ষে নেই বললেই চলে। এদিন তিনি তার এই কৃতিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বতন উপাচার্য অধ্যাপক অনিল ভূইমালি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের। এ্যাজটেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রেরিত কনভোকেশন গাউন, উপাধি, সন্মান ও স্মারক গুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সামনে যখন তুলে ধরেন অধ্যাপক পাল, তখন দৃশ্যতই উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল তাঁকে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top