ক্রীসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা। ক্রিসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা ব্যান্ডেলের একমাত্র কাঠের ভাটিতে। সামনেই ক্রিসমাস। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে কেকের চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। সারাবছর কেকের চাহিদা থাকলেও যীশুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এই সময়ে বাড়তি চাপ থাকে বেকারিগুলিতে। বহু বেকারি কারখানা ডিসেম্বর মাসে রুটি-বিস্কুট ছেড়ে কেক তৈরিতে জোর দেয়।
বিশ্বায়নের সাথে সাথে বেকারি শিল্পেও উন্নয়ন ঘটেছে। কাঠের ভাটি ছেড়ে কেক তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ইলেকট্রিক ওভেন (বৈদ্যুতিক উঁনুন)। প্যাকিং-এর আগে কেক তৈরির শেষ ধাপেই প্রয়োজন হয় এই উঁনুনের। কেকের সমগ্র উপকরণের মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এরপর ওয়েট মেশিনের সাহায্যে সেই মিশ্রণ পরিমান মত নিয়ে ভাটির তাপে শুকোলেই কেক তৈরি হয়ে যায়। যেখানে বৈদ্যুতিক ওভেনে কম সময়ে বেশি পরিমাণ কেক শুকনো যায়। কারিগরও লাগে কম। কিন্তু কাঠের উঁনুন বা ভাটিতে বেশি সময়ে কম কেক শুকনো করা যায়।
আরও পড়ুন – বজবজে শ্বশুরবাড়ির সামনে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা জামাইয়ের
তাই বেশিরভাগ বেকারি-ই বর্তমানে বৈদ্যুতিক ওভেন ব্যবহার করে। যদিও ভাটির কেকের স্বাদ কিন্তু অতুলনীয়। ব্যান্ডেল কুলি পাড়ার বেকারি ব্যবসায়ী চিকুয়া আগরওয়াল আজও কাঠের ভাটিতেই কেক তৈরি করেন। সারাবছর কমবেশী ৭জন কারিগর থাকলেও ক্রিসমাসের আগে প্রায় একমাস অতিরিক্ত ২৫জন কারিগর চিকুয়াবাবুর বেকারিতে কাজে যোগ দেন। কেক তৈরি থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যন্ত সমস্ত কাজ করেন কারিগরেরা। তারপর সেইসমস্ত কেক পৌঁছে যায় খোলা বাজারে।
ডিসেম্বর মাস মানেই অতিরিক্ত আয় এই সময়ে কাজে আসা কারিগরদের কাছে। তাই তাঁরাও অপেক্ষা করে থাকেন ক্রিসমাস মাসের জন্য। চিকুয়া আগরওয়ালের মতে বেকারি শিল্পে ভাটির ব্যবহার ক্রমশ কমছে। তবে স্বাদের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেলের বুকে আমি এখনও ভাটিতে কেক তৈরি করে চলেছে। ব্যান্ডেল কুলি পাড়ায় আগরওয়ালদের পুজা বেকারিতে সারাবছরই কাজ করেন সেখ লালটু। লালটু মূলতঃ ভাটির দ্বায়িত্বে থাকেন। তিনি বলে ভাটির কেকের স্বাদ সবকিছুকে হার মানায়। এখন দেখার ইলেকট্রিক ওভেনের জমানায় কাঠের ভাটি সত্যিই টিকে থাকতে পারে কি না! ক্রীসমাসের আগে