মহিলা ক্যারামের তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেশমা কুমারীর আশা একদিন মেরি কমদের মত তাদেরকে নিয়েও মাতবে দেশের মানুষ

মহিলা ক্যারামের তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেশমা কুমারীর আশা একদিন মেরি কমদের মত তাদেরকে নিয়েও মাতবে দেশের মানুষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মহিলা ক্যারামের তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেশমা কুমারীর আশা একদিন মেরি কমদের মত তাদেরকে নিয়েও মাতবে দেশের মানুষ। ভারতের ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির রাজ্য বিহারের এক গৃহবধূ রেশমা কুমারী আন্তর্জাতিক ক্যারাম প্রতিযোগিতায় তিনবার চ্যাম্পিয়ন এবং ১১ বার মহিলা সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আপামর ভারতবাসীকে গর্বিত করলেন।তবে রেশমাকুমারীর আক্ষেপ যে অন্যান্য খেলার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে দেশে যতটা মাতামাতি ততটা তাদের ক্ষেত্রে নেই।তবে চরম আক্ষেপের মাঝেও দুই সন্তানের জননী রেশমাদেবীর আশা একদিন বক্সার ম্যারি কম দের সাফল্য নিয়ে দেশবাসী যতটা উন্মাদনা দেখান ঠিক ততটাই তাদেরকে নিয়েও দেখাবেন ভারতবর্ষের ক্রীড়া প্রেম মানুষ।।

 

রেশমাকুমারী অকপটে জানালেন এই ক্যারাম খেলায় নিজেকে আজীবন যুক্ত রেখেই তামিলনাড়ুর আ্যন্থনি মারিয়া ইরুদয়াম যেমন অর্জুন পুরষ্কার প্রাপক তেমনই একদিন তিনিও থাকবেন দেশের অন্যতম সফল ক্রীড়াবিদ হিসাবে এই পুরষ্কার প্রাপকের তালিকায়।রেশমাকুমারী মাত্র ৯ বছর বয়সে ক্যারাম খেলা শুরু করেছিলেন খুব অল্প বয়সেয় ১৯৯৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যারাম প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।তারপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পরপর ১১ বার জাতীয় মহিলা সিঙ্গলস ক্যারাম প্রতিযোগিতার আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির তার ঝুলিতে।

আরও পড়ুন – ক্রীসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা

পাশাপাশি জাতীয় স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে তিন-তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মহিলা সিঙ্গলস বিভাগের অনন্য নজির গড়েছেন বিহারের পাটনা র বর্তমানে দিল্লীর বাসিন্দা রেশমাকুমারী। তার দুই সন্তান মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির এবং ছেলে ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। স্বামী স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কর্মী।রেশমাদেবী ক্যারাম খেলার সাফল্যের কারনেই ONGC তে চাকরিও করেন।

 

স্বামী,দুই সন্তান-সন্ততি,সংসার সামলে তিনি কিন্তু আজও ক্যারাম খেলাকে নিয়ে আরও সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন। রেশনীকুমারীর বার্তা অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ক্যারাম খেলা ধৈর্য ও মনসংযোগ বাড়ায়। আর এই খেলাকে নিয়ে যে বাচ্চারা উঠে আসছে তাদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্কলারশিপ দিচ্ছে।আমরা চাকরি করছি। সামান্য এক শহর পাটনা থেকে আমি শুরু করে আজ প্রতিষ্ঠিত। ম্যারি কমদের মত আমিও স্ট্রাগল করছি। একদিন ক্যারাম অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমসে অন্তর্ভুক্ত হবে এই আশায় এখনও এই খেলা চালাচ্ছি।।””

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top