হাওড়ার লিলুয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। স্বামী ও শ্বশুর মিলে খুন করে দেহ সিলিংফ্যানে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেন মৃতার স্বামী। তাঁর দাবি, মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি হলেও স্ত্রীকে মারধোর করেননি। এদিন কালে ঘুম ভেঙে দেখেন তাঁর স্ত্রী সিলিংফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে লিলুয়ায় কোনা পেয়ারাবাগান এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে স্ত্রী কাজলের সঙ্গে তাঁর স্বামী দেবাশিস দাসের তুমুল অশান্তি হয়েছিল। এরপরই ঘটে এমন ঘটনা। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী দেবাশিস হোসিয়ারির ব্যবসা করেন। দেবাশিস মদ্যপান করে প্রায়ই কাজলের উপর অত্যাচার করতেন। এর আগে দু’বার থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল।
ঘরে সকলে থাকা সত্বেও কী করে কাজল আত্মহত্যা করতে পারলেন সে প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্বামী ও শ্বশুর মিলেই খুন করেছে কাজলকে। কাজলের স্বামী দেবাশিস জানান, রাতে অশান্তি হয়েছিল। কাজল তখনই ঘর থেকে বাপের বাড়ি চলে যেতে চাইছিল। আমি বাধা দিই। ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম সকালে বাপের বাড়ি যেও। ঘরে স্ত্রী, ছেলে আর আমি ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি কাজল সিলিংফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। রাতে ঝগড়া হয়েছিল। সেই সময় কাজল বাপের বাড়ি চলে যাবে বলেছিল।
আরও পড়ুন – ক্রীসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা
সকালে যেতে বলেছিলাম। এরপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে দেখি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। একই ঘরে ছেলে, আমিও ছিলাম। ঘরে মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। স্ত্রী মদের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। এই নিয়ে এর আগেও অশান্তি হয়েছিল। মারধোর করা হয়নি। ১২ বছর বিয়ে করেছি। অন্যদিকে, এদের শিশুপুত্র জানায়, মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়েছিল। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি মা মরে গিয়েছে। এর আগে অনেকবার ঝগড়া করলেও মারধর করা হয়নি। এবারেই মাকে মেরেছে। বাড়িতে আমি ছাড়াও বাবা এবং মা ছিল। পাশের ঘরে দাদু ছিল। ঘর থেকে বেরোয়নি।
মৃতার ভাই সুব্রত সরকার জানান, এটা সম্পূর্ণ খুনের ঘটনা। গতকাল কাজলের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এর আগে ২ বার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযোগ কাজলের শ্বশুরের প্ররোচনায় এই কাজ করেছে দেবাশিস। আমার বোনকে দু’জনে মিলে খুন করেছে। আমরা চাইছি যাতে ওর ফাঁসি হয়। যাতে অন্য কারও কোল খালি না হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু