কুলিকে নিষেধ বনভোজন, জায়গা খুঁজতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। জেলা জুড়ে বাতাসের তাপমাত্রা কমেছে। ফলে শীতের আমেজও নিতে শুরু করেছে শীত প্রেমী সাধারণ মানুষ। এর সাথেই বনভোজন প্রেমীদের মনের মধ্যে শুরু হয়েছে বনভোজনের আমেজ। কিন্তু এবারও কুলিকে বনভোজন নিষিদ্ধ হওয়ায় বনভোজনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা খুঁজতে নাজেহাল হচ্ছেন শহরের সাধারণ মানুষ।
সোমবার দুপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা উপস্থিত হয়েছিল কুলিক অভয়ারণ্যের গেটে। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ফিরে যায় তারা। একই পরিস্থিতি হয়ছিল রবিবার বড়দিনের সকালে। রায়গঞ্জ শহরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত হয়েছিল শিয়ালমনি উপবনে। তাদের ইচ্ছে ছিল, বছরের প্রথম বনভোজনে অংশ নেওয়া।
কিন্তু হন্যে হয়ে ঘুরেও বনভোজনের জন্য একটু জায়গা মেলেনি। শেষমেশ বহুদূরে এক চিলতে জায়গায় কোনোমতে বনভোজন শুরু করে। সবমিলিয়ে বনভোজনের ঋতু আসতেই নাজেহাল হতে শুরু করল বনভোজন প্রেমী মানুষেরা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া দীপ্তেশ বর্মন বলেন, ‘গত ২বছর করোনা আবহে পিকনিক করতে পারি নি। এবার আমাদের তৃতীয় বর্ষের পড়াশোনা। বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হবে কি না জানি না।তাই কুলিক নদীর পাড়ে শিয়ালমনিতে পিকনিক করব বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু দুদিন আগে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম বনভোজনের অনুমতি দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন – মিঠুনের সেটে খাবার দিতেন বাবা, এখন আমি তাঁর সিনেমার প্রযোজক : দেব
শুনলাম এবারও কুলিকসহ বনদপ্তরের অধীনে থাকা উপবন গুলোতে বনভোজন নিষিদ্ধ করতে চলেছে জেলা বনবিভাগ। তাই মন খারাপ লাগছে।’ অভিযোগ করলেন আব্দুল ঘাটা অঞ্চলের এক বাসিন্দাও। তার দাবি, ফিবছর পিকনিক হলে ওই সময়টাতে বেশ ভালোই উপার্জন হত। কিন্তু গত বছর থেকে পিকনিক বন্ধ থাকায় আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে আছি।’ এদিকে বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই নির্দেশ এবছরের নয়। বহুদিন আগেই এই নির্দেশিকা লাগু হয়েছে। বন্যপ্রাণী বাঁচাতে এমন করা প্রয়োজন। কুলিকে নিষেধ