ভুয়ো ইলেকট্রিক বিলের গণমাধ্যমের খবরের জেরে অবশেষে টনক নরল বিদ্যুৎ দফতরের। ফারাক্কার জয়রামপুর এলাকার বাশিন্দা অসহায় মহিলা হোসনারা বিবির পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
বুধবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা বিল সংশোধন করে দিলেন এবং ১১৮ টাকা করে তিন মাসের ৩৫৪ টাকা বিল তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। খুশি পরিবারের সদস্যরা ও গ্রাম বাসিরা ।
উল্লেখ্য, ভুয়ো বিলের বিপাকে পড়ে পথে বশার মত অবস্থা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার জয়রামপুর এলাকার এক হতো দরিদ্র পরিবার হোসনারা বিবি সহ অন্যান্য সদস্যদের।
মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার জয়রামপুর এলাকায় দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান হতদরিদ্র হোসনারা বিবি। স্বামী আলোম সেখ প্রায় ১২ বছর ধরে নিখোঁজ। এক চিলতে ঘরে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন হোসনারা বিবি। বাড়িতে দুই মেয়ে বিড়ি বেধে কোন রকমে তাদের সংসার টুকু চালান। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংজোগ আছে নিখোঁজ আলোম সেখের নামে। একদিন সব ঠিকঠাকই চলছিল। হটাৎ করে তাদের সংসারে আধার নেমে আসে রবিবার। বিদ্যুৎকর্মী এসে তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে জান বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল। জার পরিমান ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৭ টাকা। এতদিন পর্জন্ত তাদের এক চিলতে কুঠিরে একটি মাত্র পাখা ও দুটি লাইট জালিয়ে যেখানে বিদ্যুৎ বিল আসতো ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মত। কিন্তু হটাৎ করে এই বিপুল পরিমাণ ভুয়ো বিলের বোঝা চেপে যাওয়ায় এখন কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে বাড়ির মালিক মা হোসনারা বিবির। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ, দুই মেয়ে বিড়ি বেধে যে টুকু পয়সা উপার্জন করে তা দিয়েই তাদের মায়ের চিকিৎসা ও সংসার টুকু চলে কোন রকমে।
ঘটনার পর আমরাই এই সমস্যার কথা তুলে ধরি সবার সামনে, তারপরই এবিষয়ে টনক নড়ে বিদ্যুৎদপ্তরের কর্মীদের। বুধবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা বিল সংশোধন করে দেন এবং ১১৮ টাকা করে তিন মাসের ৩৫৪ টাকা বিল তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এই বিপুল পরিমাণ বিলের বোঝা ঘার থেকে নামাই কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন হতো দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই পরিবার ও প্রতিবেশীরা