গঙ্গাসাগরে তিনটি হেলিপ্যাড, কাকদ্বীপে একটি সেতু সহ কপিল মুনি আশ্রম লাগোয়া আবাসিকদের জন্য একটি ভবন উদ্বোধন করা হবে। গঙ্গাসাগরে তিনটি হেলিপ্যাড, কাকদ্বীপে একটি সেতু সহ কপিল মুনি আশ্রম লাগোয়া আবাসিকদের জন্য একটি ভবন উদ্বোধন করা হবে। বুধবার দুপুরে গঙ্গাসাগরে রওনা হবার আগে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুরেই ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি এখানে আসেন এবং গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।হেলিপ্যাডে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগরে তাঁর একাধিক কর্মসূচি আছে।
তিনি বলেন, “গঙ্গাসাগরে তিনটে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর শুভ উদ্বোধন হবে।পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। কপিলমুনির আশ্রমে তিনি যাবেন এবং সেখানে সকলের হয়ে তিনি পুজো দেবেন। তিনি আরো বলেন, ৮ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত মেলা চলবে এবং এই মেলা চলাকালীন যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা যাবেন তাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বীমা করা হয়েছে। এছাড়া যারা অসুস্থ হবেন তাদের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা থাকছে। কাকদ্বীপে একটি সেতু উদ্বোধন করা হবে।
কপিল মুনি আশ্রম লাগোয়া আবাসিকদের জন্য একটি ভবন উদ্বোধন করা হবে।” সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে কিছু বলতে চাননি। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা।
আরও পড়ুন – তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভারতের মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলার ভূমিকার প্রদর্শনী
এই মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেইজন্য ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। মেলা শুরুর আগে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আজ বুধবার থেকে ২ দিনের জন্য গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর নিয়ে এদিন ডুমুরজলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নেরও উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী।