লোকসভার নির্বাচনের আগে জন কল্যাণকর প্রকল্প নিয়ে তথ্য বিভ্রান্ত করে পেশ ভাজপার। তথ্য জালিয়াতি করে লোকসভা নির্বাচনের আগে দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্টের প্রচার নেওয়ার অপচেষ্টাকে কড়ালো ভাষায় আক্রমণ শানালেন মেয়র গৌতম দেব।তথ্য প্ৰকাশ্যে এনে বিজেপির দাবিকে ন্যসাৎ মেয়রের। শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে সর্ব জান্তা বলে কটাক্ষ। দার্জিলিং বিজেপি সাংসদের পাঁচ বছরের এমপি ল্যাডের টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ম তুললেন মেয়র গৌতম দেব।
শিলিগুড়িতে অমরুত দুইয়ের মেগা পানীয় জল প্রকল্প ও ভুগর্ভস্থ নিকাশি সোয়ারেজের কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্প ঘিরে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে আসরে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের অনুমোদনে শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে পানীয় জল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ই টেন্ডার তথা দরপত্র বের করার পর বোধদয় ঘটে ভাজপার। বিজেপি নিজ ঝুলিতে রাজনৈতিক প্রচার তুলতে দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্ট কেন্দ্রের আবাসন, শহর কায়া মন্ত্রকের অমরুত দুইয়ের একটি চিঠি রাতারাতি সামনে এনে পুর প্ৰকল্প ব্যয় বহন করছে কেন্দ্রের সরকার এমন বিভ্রান্তিকর দাবি তোলেন।
এরপরই রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ বাধে। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব পুরনিগমের সভাকক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করে কয়েকশো কোটি টাকার বিস্তারিত নথি পেশ করেন। মেয়র সাফ জানান অমরুত দুইয়ের
প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৬৭শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব মাত্র ৩৩ শতাংশের। আর এই প্রকৃত তথ্য বিভ্রান্ত করে কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পকে নিজ নামে চালাতে চাইছে ভাজপা। যেন দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্ট তা করিয়ে এনেছেন। মেয়র বলেন এক লক্ষ জনবসতিপূর্ন নগর এলাকাগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো অনুযায়ী কেন্দ্রের প্ৰকল্প বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থে ৩৩শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে।
বাকি ৬২শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য। আর রাজ্যের কর ও অনিষাঙ্গিক মিলে ইউএলবি দেবে ০.৫শতাংশ।ফলে ৫১১.০৮ কোটি টাকার শিলিগুড়ি মেগা জল প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্র দেবে ৩৩শতাংশ অর্থাৎ ১৬৮.৬৫৬৪কোটি, রাজ্যের প্রকল্প বাবদ খরচ ৬২শতাংশ অর্থাৎ ৩১৬.৮৬৯৬ কোটি টাকা।এবং ইউএলবি ০.৫শতাংশ ২৫.৫৫৪ কোটি। ১৩৮এমেলডি জল পাওয়া যাবে এই মেগা জল প্রকল্পে। মেয়র বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।অমরুতের আওতায় ২৭৪.১৯কোটি টাকার ভুগর্ভস্থ নিকাশি পরিকল্পনার সোয়ারেজ ও সেপটেজ ম্যানেজমেন্টে এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব একইভাবে ৩৩%। যা ৯০.৪৮২৭কোটি টাকা।
রাজ্য ৬২শতাংশ ১৬৯.৯৯৭৮কোটি টাকা। ইউএলবি ৫% ১৩.৭০৯৫ কোটি টাকা। দুটি প্রকল্পের কাজই করনে রাজ্যের কেএমডি। রাজ্য ৩০৫০হাজার কোটি অর্থ প্রদানের স্বীকৃতি না দিলে দিল্লি সহায়ক ফান্ড ছাড়বে না।মেয়রের দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্টের প্ৰকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে জানান ওরা নয় কিছু জানেনা।অথবা জেনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সাংসদ বাচ্চা ছেলে। মন্ত্রী তাদের দাবি ন্যাসৎ করে বলেন শিলিগুড়ির এই মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সুব্রত মুখার্জি মন্ত্রী থাকাকালীন সময়তে। ইউপিএ সরকারের সময়কালে ছিল জহরলাল নেহেরু আর্বান রিন্যুয়াল মিশন তার নাম বদলে বিজেপি অমরুত হয়েছে।
আরও পড়ুন – শশী, জয়প্রকাশ, সায়ন্তিকা-র নিশানায় শুভেন্দু
অমরুত২.০ প্ৰকল্প লঞ্চ হয়েছে ২০২১এর ১লা অক্টোবর। তার আগে ডিপিআর তৈরি করা হয় মেগা জল প্রকল্পের। অমরুতে রাজ্য গুরুত্ববুঝে তালিকা করে স্থির করে দেয় কোন প্ৰকল্প কোথায় কিভাবে হবে। এতে বিজেপির কোনো ভূমিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২-২৩ আর্থিক বর্ষে পুর ও নগরোন্নয়ন কাজের মধ্যে শিলিগুড়ির এ মেগা প্ৰকল্প গুলি রেখেছিলেন। লোকসভার প্রচার পেতে নানা কারসাজি তথ্য বিভ্রান্তি করছে তারা। আর সর্বজান্তা বিধায়ক বলে শঙ্কর ঘোষএর নাম না নিয়ে আক্রমণ ছুড়ে দেন মেয়র। জন কল্যাণকর