গ্রামীন আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে মৌমাছি পালন অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছে। গ্রামীন আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে মৌমাছি পালন অন্যতম ভূমিকা নিতে শুরু করেছে। দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কালমাটি এলাকায় মৌমাছি পালন লক্ষ্য করা যায়। সীমান্তের এই গ্রাম বরাবরই বেশী ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ধান ছাড়াও কিছু কিছু জমিতে এখানে ভুট্টা,সরিষা ও পাট করা হয়। উল্লেখ্য, এখানে কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু সংখ্যক কৃষক মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে প্রায় এক প্লটে দেড়শো বিঘাতে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। সমগ্র এলাকাটি যেন হলুদের সমাহার ও নয়নাভিরাম। এই এলাকাটতেই কৃষকদের কাছে নতুন একটি বিষয় তুলে ধরার উদ্যোগ নেন শিক্ষক সৈকত সরকার।
সৈকত সরকার জানান,মৌমাছি পালনের বিষয়টি অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম। মাঝে কোভিডের কারনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। কাজটি কিছুতেই সম্পন্ন করতে পারছিলাম না। তাই এবারে আমন ধান ওঠার আগেই কৃষকদের সাথে সরিষা চাষ ও মৌমাছিপালনের বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এরপর সরিষা ফুল আগমনের সময়কালে মৌমাছি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় বক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম যোগাড় করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থাপন করছিলাম। এই বিষয়ে অভিজ্ঞ কৃষ্ণ পদ সরকারকে পাশে পাবার ফলে কাজটি করতে যথেষ্ট সুবিধা হয়েছে।
আরও পড়ুন – দিদির সুরক্ষা কবজ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান।
এছাড়াও গোলাপ শেখ সহ স্থানীয় কিছু কৃষককে পাশে পেয়েছি,যারা না থাকলে এই কাজটি করা সমস্যাজনক হোতো। গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছিপালনের কারণে মধু যেমন পাওয়া যায়,তেমনি পরাগ সংযোগের পরিমাণ নিশ্চিতভাবেই বাড়ে। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অভিনব এই উদ্যোগের দরুণ কৃষকরাও খুব খুশী। স্থানীয় যুবকদের মধ্যেও অনেকে আগামীদিনে মৌমাছিপালনের করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। গ্রামীণ আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মৌমাছিপালনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি নতুন মাইলফলক বলে কৃষি বিশেষজ্ঞগন মত প্রকাশ করেছেন।