পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া সহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ। পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে দিনহাটার গোপাল নগর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল ছাত্র সংগঠন এসএফআই। স্কুলের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠনের আন্দোলন কে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার দিনহাটা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশনের প্রতিলিপি দিনহাটা মহকুমা শাসক এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। ডেপুটেশনের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের দিনহাটা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সৌভিক দে, সম্পাদক আকাশ সাহা, টুটুল সরকার প্রমুখ ছাত্র নেতৃত্ব।
এদিন ডেপুটেশন দেবার সময় সংগঠনের নেতৃত্ব মহকুমা স্কুল পরিদর্শক এর কাছে অভিযোগে উল্লেখ করেন, এবছর পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য গোপালনগর হাই স্কুল এডমিশন টেস্ট নিয়েছে, যা সরকারি আইন বিরুদ্ধ। এর ফলে স্কুলের এক কিলোমিটারের মধ্যে বহু ছাত্র-ছাত্রী যেমন ভর্তির সুযোগ পায়নি, তেমনি গোপালনগর হাই স্কুল চত্বরে একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। সেই স্কুলের হাতেগোনা দুই একজন বাদে বাকিরা সবাই এই স্কুলে ভর্তি থেকে বঞ্চিত। যেখানে সরকারি নিয়ম অনুসারে ওই প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার যোগ্য।
ফলে বহু ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তারা বলেন, গোপালনগর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ব্রেঞ্চ কেনার জন্য এক’শ টাকা করে সংগ্রহ করছে। শুধু তাই নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়েও অতিরিক্ত টাকা না হচ্ছে।এভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কিছুতেই অর্থ তোলা যায় না। কারণ বেঞ্চ কেনার জন্য সরকার থেকে অর্থের অনুমোদন দেওয়া হয়। অবিলম্বে এই হাই স্কুলের অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করা না হলে এর বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার জন্য হুঁশিয়ারী দিয়েছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ।
এদিন সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল দিনহাটা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার সময় সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমস্যাগুলি নিয়ে সরকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বলে সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্ত অধিকারী জানান, ছাত্র সংগঠনের দাবি পত্র পেয়েছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো নিয়েও তাদের সাথে কথা বলা হবে।