বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী

বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী। দেখানো হলো কালো পতাকা । ঘটনা ঘটেছে মালদার উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে। গঙ্গা ভাঙ্গন ও আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। মন্ত্রী সকলের কথা না শুনে চলে যাওয়ায়, তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

 

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে দু’দিনের মালদহ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোটেশ্বর পাটিল। মঙ্গলবার দিন বিজেপির মালদা জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। এরপরে ওই দিনই প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করার কথা থাকলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়।এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এরপরই বুধবার দুপুরে তিনি মানিকচকে উত্তর চণ্ডীপুর এলাকায় যান। সেখানে বিএস হাইস্কুলে ঢোকেন।

 

তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, মানিকচকের বিজেপি নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। সেখানে আগে থেকেই কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অপেক্ষা করছিলেন। এলাকার কিছু বাসিন্দার কাছ থেকে আবাস নিয়ে অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অভিযোগ জানাতে আরও অনেক গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হয়ে যান। তাঁরা প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে। এরপর সরাসরি উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে ঢোকেন মন্ত্রী।

 

গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাতে চেয়েও জানাতে পারেননি। মন্ত্রী আর কারোর সঙ্গেই কথা না বলে পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি বেরোতেই গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি কালো পতাকাও দেখান তাঁরা। এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গ্রামবাসী মনিরুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম রা বলেন, আমরা গঙ্গার ভাঙ্গনে উদ্বাস্তু। ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জেরে গঙ্গার ভাঙ্গন বিগতদিনে রোধ করা যায়নি । ফলে ভিটেমাটি হারিয়ে বহু পরিবার যে যার মত আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।

 

সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েতস্তরে আবাস যোজনায় আমাদের ঘর পাওয়ার কথা। কিন্তু তা এখনও পায়নি। এই কথায় আমরা মন্ত্রীকে বলতে এসেছিলাম। কিন্তু উনি আমাদের কথাই শুনতে চাননি। তার জন্যই মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে কালো পতাকা দেখিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান শুনিয়েছে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচক বিধানসভা সাংগঠনিক নেতা গৌড় চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন,’এখানে মানুষের কথা শুনতে মন্ত্রী এসেছিলেন।

আরোও পড়ুন –  মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এবার প্রবীণরা,নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর

কিন্তু তৃণমূলের চক্রান্তে হঠাত্‍ করে একটা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। মন্ত্রী সকলের কথা শুনেছেন। মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ”রাজ্য সরকারের উন্নয়নের জেরেই আজ ভুতনির সেতু তৈরি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হয়েছে। মানুষ ঘর পাচ্ছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি অযথা এলাকায় উত্তেজনা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। মানুষ তার জবাব দিয়েছে। বিক্ষোভের মুখে

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top