হাওড়াতেই আগামী দিনে হর্টিকালচার নার্সারি করার পরিকল্পনা। হাওড়াতেই আগামী দিনে একটি হর্টিকালচার নার্সারি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরজন্য জায়গার খোঁজ চলছে। জানালেন ফুলমেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামল মিত্র। আগামী দিনে হাওড়ায় ফুলমেলা কমিটির তরফ থেকে একটি হর্টিকালচার নার্সারি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরজন্য জায়গার খোঁজ চলছে।
জায়গা পাওয়া গেলে এবং নার্সারি করা গেলে হাওড়া ফুলমেলার অধিকাংশ গাছে সেই নার্সারি থেকেই আসবে। হাওড়া ফুলমেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামল মিত্র আরও বলেন, এবার চারদিনের এই ফুলমেলায় ১২২টি নার্সারির গাছ আনা হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদীয়া, কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নার্সারি থেকে গাছ এসেছে। কলকাতা পুরসভার হর্টিকালচার নার্সারি থেকেও গাছ এসেছে। কোভিডের জন্য ফুলমেলা কয়েক বছর বন্ধ ছিল।
এবছর ভাল ফুল এসেছে ও বেশি ফুল গাছ এসেছে। হর্টিকালচার ও অ্যাসেম্বলিতে যে ফুলমেলা হয় তারাই এখানে ফুল গাছ এনেছেন। তাঁরা বলছেন এই ফুলমেলা সেখানের থেকেও ভালো হয়েছে। এখানে অনেক দুষ্প্রাপ্য ফুল আছে। আছে থাইল্যান্ড অর্কিড। এই মেলায় ফুলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বিচারকরা ফুল দেখে বিচার করবেন কোন ফুল পুরস্কার পাবে। তিনি বলেন কোন ফুল কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে পরিচর্যা করা হয় সেটা বিবেচনা করেন বিচারকরাই।
শ্যামলবাবু আরও জানান এই চারদিনের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই মেলায় আসবেন।এই ফুলমেলা সম্পর্কে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এই মেলা একটা অন্যতম আকর্ষণ। প্রচুর মানুষ আসছেন এই মেলায়। বিবেকানন্দের জন্মদিনের শুভ দিনে এই ফুল মেলার উদ্বোধন হয়েছে। এটি হাওড়া শহরের একটা বড় আকর্ষণ। এই মেলা বারো, তেরো, চোদ্দ ও পনেরো তারিখ অবধি হবে। আছে চারদিন ধরে নানা অনুষ্ঠান। তারমধ্যে আবার তিনি সময় পেলে ফুলমেলায় আসবেন বলে জানান মন্ত্রী।
প্রসঙ্গতঃ হাওড়া ফুলমেলা শুরু হয়েছে মধ্য হাওড়ার বিজয়ানন্দ পার্কে। ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই মেলার শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্টরা। উল্লেখ্য, “হাওড়া ফুলমেলা – ২০২৩” এর পরিচালনায় রয়েছে হাওড়া বৃক্ষ ও পুষ্প প্রেমী সংগঠন। ১২ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি এই চার দিন মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ফুলমেলার আয়োজন করা হয়েছে। থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – পৌরসভার উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি স্থাপন
উপস্থিত থাকবেন সোমলতা, দোহার ব্যান্ড সহ গায়ক ও নামী শিল্পীরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী তথা হাওড়া ফুলমেলা কমিটির সভাপতি অরূপ রায় ছাড়াও হাওড়া ফুলমেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামল মিত্র উপস্থিত ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত জগতের দুই বিশিষ্ট শিল্পী স্বপ্না ঘোষাল এবং রঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে ফুলমেলা কমিটির তরফ থেকে বিশেষ সম্বর্দ্ধনা দেওয়া হয়। এই মেলায় বিভিন্ন নার্সারি থেকে কয়েক হাজার গাছ স্থান পেয়েছে। রয়েছে নানা দুষ্প্রাপ্য গাছও।