নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ৪০। ৭২ আসনের এই বিমানে যাত্রী ছিলেন মোট ৬৮ জন। আর ক্রু সদস্য ছিলেন চারজন। তাঁদের সবারই মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছিল প্রথম থেকেই। ৪০ জনের দেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। ৬৮ জন যাত্রী ও চার জন ক্রুয়ের মধ্যে ৫ জন ছিলেন ভারতীয়। ৫৩ জন নেপালি। এছাড়া চার জন রুশ নাগরিক ছিলেন অভিশপ্ত বিমানে। কোরিয়ার দু-জন ছিলেন। আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ও আয়ারল্যান্ডের একজন করে নাগরিক ছিলেন বিমানে। বাকিরা কোন দেশের তা নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁদের শনাক্ত কররা চেষ্টা চলছে বলে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নেপালের পোখরায় যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ায় উদ্ধার হয়েছে ৪০ জনের মৃতদেহ। তাঁদের মধ্যে রযেছেন অন্তত পাঁচজন ভারতীয়।
আরও পড়ুন – প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরেই বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস!
যাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্তত পাঁচ ভারতীয় রয়েছ বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। একটি সূত্র জানাচ্ছে, কোনও যাত্রীরই বেঁচে নেই। দুর্ঘটনার পর এমনভাবেই আগুন ধরে গিয়েছিল যে, যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। আগুন নিভিয়ে যখন উদ্ধার করা গিয়েছে, তখন বেশিরভাগই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। রবিবার সকালে অবতরনের খানিক আগে নেপালের পোখরা বিমানবন্দরের অদূরে কাস্কি জেলায় ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী বিমানটি। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৯এন এএনসি এটিআর৭২ বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসছিল। উড়ানের ২০ মিনিচ পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন কমল কেসি। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগেই সেটি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। দুই শহরের মধ্যে ফ্লাইটের সময় মাত্র ২৫ মিনিট। অর্থাৎ পোখরায় নামতে আর পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বিমানবন্দরের অদূরেই এই ঘটনা ঘটায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত উড়ানের কাছে ছুটে যায় বিমানবন্দরের দমকলবাহিনী। আগুন নেভানোর পর যাত্রীদের উদ্ধারের তড়ঘড়ি চেষ্টা চালানো হয়। বিমানের ভিতর থেকে ৪০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিমান দুর্ঘটনায়