বেলুড় মঠে ভক্তদের ঢল। বেলুড় মঠে স্বামীজীর ১৬১তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই চলছে নানা অনুষ্ঠান। ভক্তদের ঢল নেমেছে মঠে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উৎসব উপলক্ষে বেলুড় মঠে নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। মূলত তিনটি ভাগে অনুষ্ঠান ভাগ করা হয়েছে। ভোর চারটে পঁয়তাল্লিশ মিনিটে মঙ্গলারতি দিয়ে এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর স্বামীজীর মন্দিরে বেদ পাঠ ও স্তবগান, বিশেষ পূজা এবং হোমের আয়োজন করা হয়।
স্বামীজীর ঘরে উচ্চাঙ্গ সংগীত, খেয়াল, ধ্রুপদ পরিবেশন হয়। মূল মন্দিরের পাশে নির্মিত অস্থায়ী সভামন্ডপে দিনভর হবে বিবেকানন্দ গীতি, ভক্তিগীতি , স্বামীজীর জীবনী পাঠ এবং পরিশেষে ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এরই মাঝে ভক্তদের জন্য ভোগ বিতরণের আয়োজন রয়েছে। মঠ সূত্রের খবর, শনিবার ১৪ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উৎসব উপলক্ষে বেলুড় মঠে ভোর থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন স্বামীজীর মন্দিরে ভোরে মঙ্গলারতি হয়। এরপর বেদ পাঠ ও স্তব পাঠ হয়। এরপর সকাল সাতটায় হয় বিশেষ পুজো। দুপুরে হোমের আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি এদিন শ্রীশ্রীস্বামীজীর ঘরে সাধু ও ভক্তবৃন্দ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন করেন।
এরপর হরিদাস রায় খেয়াল পরিবেশন করেন। সুপ্রিয় মৈত্র ধ্রুপদে অংশ নেন। বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা সভামন্ডপে এদিন বিবেকানন্দ গীতি পরিবেশন করেন। এরপর সভামণ্ডপে স্বামী বেদার্থানন্দজি মহারাজ কঠোপনিষদ পাঠ করেন। এরপর কৌশিক ভট্টাচার্য ভক্তিগীতিতে অংশ নেন। এরপর হয় উচ্চাঙ্গ সংগীত। পরিবেশন করেন ডক্টর দত্তাত্রেয় ভেলাঙ্কার। এরপর সভামন্ডপে গীতি আলেখ্য যুগনায়ক পরিবেশিত হয়। দুপুরে শ্রী অর্ণব ভট্টাচার্য সরোদবাদন করেন।
এদিন স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও বাণী নিয়ে ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই ধর্মসভার সভাপতিত্ব করেন স্বামী বিদ্যানন্দজি মহারাজ। বাংলায় বক্তা ছিলেন স্বামী মহাপ্রজ্ঞানন্দজি মহারাজ। ইংরেজিতে বক্তব্য রাখেন স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দজি মহারাজ। এদিন বেলা ১১টা থেকে মা সারদা সদব্রত ভবনে ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যায় স্বামীজীর মন্দিরে শ্রীশ্রীঠাকুরের আরতির পর সন্ধ্যা আরতি এবং ভজন পরিবেশনের আয়োজন করা হয় বলে বেলুড় মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরেই বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস!
সবমিলিয়ে প্রতিবছরের মতো বেলুড় মঠে এবারেও স্বামীজীর জন্মতিথি অত্যন্ত ভক্তি এবং নিষ্ঠা সহকারে পালিত হয়। মাঝে গত দু’বছর করোনার প্রকোপে সাধারণ মানুষ এবং ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। এবার আর সেই পরিস্থিতি নেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।