Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
দিদির সুরক্ষা কবজ' কর্মসূচি শুরু দিনহাটায়

দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচি শুরু দিনহাটায়

দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচি শুরু দিনহাটায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচি শুরু হল দিনহাটায়। মঙ্গলবার এই কর্মসূচিতে বড় আটিয়াবাড়ী দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিধায়ক গেলে বাসিন্দাদের একটি অংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা বিধায়কের কাছে তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। বড় আটিয়াবাড়ী দুই অঞ্চলে এই কর্মসূচি শুরু হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের রাখাল স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দারা পানীয় জল ও রাস্তা নিয়ে বিধায়কের কাছে ক্ষোভ উপড়ে দেন। এদিন দিদির দূত হিসাবে বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ওই এলাকায় গেলে তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা রাকেশ চৌধুরী, দলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান, দলের অঞ্চল চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ,গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মকবুল হোসেন প্রমুখ।

 

এদিকে এদিন বড় আটিয়াবাড়ী এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় তৃণমূলের রাজ্য নেতা তথা নমঃশূদ্র উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মুকুল বৈরাগ্য, দিদির দূত রাকেশ চৌধুরী। তারা এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের দিনহাটা এক এ ব্লক সভাপতি সুধাংশু রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন, সমরেশ দেব প্রমুখ নেতৃত্ব। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন দিকের সাধারণ মানুষ রাস্তা থেকে শুরু করে পানীয় জল এমনকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ম নানা অভিযোগ তুলে ধরেন নেতাদের কাছে।

 

এদিন ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচিতে বিধায়ক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেন কিনা খোঁজখবর নেন। রাখাল স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় গেলে গ্রামের মহিলারা তাকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগরে দেন। বাসিন্দাদের জরিনা বিবি, আবেদা বিবি, সেরাজুল হক, মোসলেম মিয়া রা বিধায়কের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে উল্লেখ করেন, বিগত সাত বছর আগে আপনি এই এলাকায় এসেছিলেন। সে সময় আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন পানীয় জলের ব্যবস্থা ছাড়াও রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে। তারপর আজও সেই রাস্তা হয়নি। শুধু তাই নয় জলের জন্য ট্যাপকল বসানো হলেও আজও জল আসেনি। অনেক দূরে গিয়ে আমাদের জল আনতে হয়। দীর্ঘ বছর রাস্তা সংস্কার হয়নি। বর্ষায় জল দাঁড়িয়ে পড়ায় তার ওপর দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়।

আরও পড়ুন – নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কেউ জীবিত নেই

এলাকার বাসিন্দারা বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলে বিধায়ক সেখান থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিক কে ফোন করে অবিলম্বে জলের সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। এবং এলাকার রাস্তা যাতে দ্রুত সংস্কার হয় সেটাও তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বিধায়কের আশ্বাস পেয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের জরিনা বিবি জানান, দ্রুত তাদের এই সমস্যা সমাধান না হলে আগামীতে আন্দোলনে নামবো।

 

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের আবুল মিয়া ঝুড়িপাড়ার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বড়শোলমারি যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে থাকা নিয়েও বিধায়কের কাছে ক্ষোভ উপড়ে দেন। বছরের পর বছর ধরে এই রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে বলে তার অভিযোগ। রাস্তা সংস্কারে একাধিকবার আন্দোলন হলেও কোনরকম হেলদোল নেই। রাস্তা না হলে আর ভোট নয়। বিধায়ক তাদেরকেও আশ্বস্ত করেন দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে।

 

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় জানান, তৃণমূল নেতারা নানারকম দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। চাকরি চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে কাটমানি নিয়ে ন্যূনতম পরিষেবা টুকু দেয়নি। বড় আটিয়াবাড়ী এলাকায় রাস্তা থেকে শুরু করে জল নিয়ে যেসব অভিযোগ এলাকার বাসিন্দারা তুলে ধরেছে তা প্রমাণ করে তৃণমূল পরিচালিত সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই সব জায়গাতেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। এই কর্মসূচিতে কোন লাভ হবে না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top