বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। বিজেপি নেতাদের করা ভুয়ো অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে ফের মুখ পুড়লো আবাস প্লাসের তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। উল্টে একশ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিতে ঘেরাও , বিক্ষোভ এর মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। শুক্রবার সবং ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আবাস প্লাস তদন্ত করতে আসেন ।
বিজেপি নেতা অমূল্য মাইতি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের সমর্থক বেশ কিছু গরিব মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঘুরে ঘুরে সেসব বাড়িতে যান। দেখেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব কার্যত মূল্যহীন ।
বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন , তৃণমূল কংগ্রেস অবৈধভাবে কাউকে ঘর পাইয়ে দিয়েছে, কার ও নাম কেটে দিয়েছে । শুক্রবার সরেজমিন খতিয়ে দেখার পর প্রমাণিত হয়েছে সবগুলো মিথ্যা অভিযোগ ছিল। অভিযোগের কোন সত্যতা নেই । যেসব বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় দলকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেন , তাঁদের নেতারা কেন এমন মিথ্যে অভিযোগ করেছেন যাতে তাঁদের অপদস্ত হতে হচ্ছে। তাঁরা এদিন যেসব বাড়ি তদন্ত করলেন সেখানে পাকা বাড়ি ছিল বলেই তাঁদের নাম আবাস প্লাস থেকে বাদ পড়েছে।
যেমন তপন সামন্ত, চিন্তামণি সাউ সহ ৮ জনের কারো পাকা বাড়ি আছে। কেউ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পেয়েছেন বলে স্থানীয় গ্রাম পঁচায়েতের তালিকায় তাঁদের নাম আসেনি। বিজেপি নেতা অমূল্য মাইতি বলেছেন তাঁরা বিজেপি করে বলে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সারবত্তা নেই জেনে কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েই কেন্দ্রীয় দল বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে বেরোতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ এর মুখে পড়েন। তাঁদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করেন কেন কেন্দ্র সরকার তাঁদের বকেয়া একশ দিনের টাকা মেটাচ্ছে না ? এর জবাব দিতে হবে ।
আরও পড়ুন – কেশপুরে গোষ্ঠী কোন্দল, পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে মানস ভুঁইয়া
গত ৯ মাস ধরে টাকা পাচ্ছেন না। পুলিশ বিক্ষোভ কারীদের হঠিয়ে কোনোরকমে কেন্দ্রীয় দলের সদস্য দের বের করে আনে। এবিষয়ে সবংএর তৃণমূল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু কালাম বক্স জানান , সবং-এর মাটিতে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে অপদস্ত , অপমান করার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে কালিমা লিপ্ত করতে এবং উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে, গরিব মানুষের বিরোধিতা করতে করতে কখন কার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা নিজেই জানেন না । এজন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এলাকায় গিয়ে প্রচন্ড অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন।