‘দেশ ছেড়ে পালানোর আগে গ্রেফতার করা উচিত’, আদানির নাম না করে গতকাল সভা থেকেই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

‘দেশ ছেড়ে পালানোর আগে গ্রেফতার করা উচিত’, আদানির নাম না করে গতকাল সভা থেকেই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

‘দেশ ছেড়ে পালানোর আগে গ্রেফতার করা উচিত’, আদানির নাম না করে গতকাল সভা থেকেই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আদানির গ্রেফতারির দাবি তোলেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

 

 

আদানি ইস্যুতে তোলপাড় জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতি। এই ইস্যুর আঁচ পড়েছে সংসদের অধিবেশনেও। এই ইস্যুতে বিরোধীদের আলোচনার দাবিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সংসদের দুই কক্ষেই। আজই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছেন। এদিকে আদানি ইস্যুর ছাপ পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতেও। বাংলার সঙ্গে আদানির ‘গোপন আঁতাত’ রয়েছে বলে অনেক মহলে চর্চা রয়েছে। কয়েক মাস আগেই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে (Bengal Global Business Summit) আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে। আর বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আদানি বাংলার বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করবেন। এই সম্মেলন থেকেই আদানির সঙ্গে তৃণমূলের একটি সম্পর্ক সদ্য শুরু হয়েছিল। তবে তা পরিপক্ক হওয়ার আগেই শেষের দিকে এগোল কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আর এই বিজিবিএস-এ আদানিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই এখন তৃণমূলকে সুর চড়াতে হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। একাধিক মহল মনে করছে, আদানির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল।

 

 

 

শেয়ারে উথালপাথাল হতেই গতকাল পূর্ব বর্ধমানের এক সভা থেকে নাম না করে বিস্ফোরক হন মমতা। আর নেত্রীর সুরে সুর বেঁধেছেন বাকি সাংসদরাও। সকালে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরই বিকেলে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম তদন্ত এবং গ্রেফতারির দাবি তোলেন। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে আদানির নাম না করে মমতা বলেন, “কালকে তো প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। এবার কাউকে কাউকে অনুরোধ করে…আমরা জানি তাঁরা কারা। নামগুলো বলে আমি আর তাঁদের দুর্বিসহ করতে চাই না।” তিনি আরও বলেন, “কাউকে বলেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও। কাউকে আবার বলেছে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও। এই দিয়ে সরকার চলে? একটা সরকারের যদি প্ল্যানিং না থাকে…।”

 

আরও পড়ুন – মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রে কেন নিষেধাজ্ঞা, কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

 

আর সকালে মমতার এহেন মন্তব্যের পরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত এবং গ্রেফতারির দাবি তোলেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, “ইডি, সিবিআইয়ের মতো যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিরোধীদের পিছনে ক্ষ্যাপা কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের ছায়া পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীকে স্পর্শ করতে পারল না। কেন পারল না? এখনও পর্যন্ত সবাই নীরব কেন? অর্থমন্ত্রক নীরব কেন?” সুখেন্দুশেখর আরও বলেন,”সুপ্রিম কোর্টের কোনও ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এর তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ এর সঙ্গে বহু মানুষের ভবিষ্যতও জুড়ে রয়েছে। ব্যাঙ্কের সুদের হার এত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে সুদ মেলে না। অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ মানুষরা তাই বাধ্য হয়ে শেয়ার বাজারে যাচ্ছেন। আর শেয়ার মার্কেটের হাঙরগুলো এই সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে। এর মতো জাতীয় বিপর্যয়কে রোধ করতে হলে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধাররা যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন তাই তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত। পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত এয়ারপোর্টে লুক আউট নোটিস জারি করা উচিত। এমনকি ইন্টারপোলকেও সতর্ক করা দরকার।”

 

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top