ফের হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে CBI , SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। SSC-র নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের একবার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যাঁরা OMR শিট বিকৃত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?” এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন CBI-র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, CBI তদন্ত নিয়ে বার বার ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। বিচারপতি বসু বলেন, “CBI কী ভাবে তদন্ত করবে, তার উপদেশ কেন বার বার হাইকোর্টকে দিতে হচ্ছে? এই ধরনের ক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা বা কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া ভালো দেখায় না। গত ছ’বছরে তো অনেক টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে। তা হলে CBI এতো ঢিলে ঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে কেন?”
নিয়োগ দুর্নীতিতে SSC-র WBCS পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে উঠেছে বিধি ভাঙার অভিযোগ। বিষয়টি সরাসরি নবান্নের নজরে এনেছে বিকাশ ভবন। সম্প্রতি অবসর নেওয়া ওই অফিসার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। বিকাশ ভবন সম্প্রতি কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরকে জানিয়েছে, প্রথম SLST পরীক্ষার নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের প্যানেলের মেয়াদের সময়সীমা বেআইনি ভাবে বাড়ানোর নেপথ্যে এই অফিসারের ভূমিকা ছিল। প্যানেলের সময়সীমা থাকে সাধারণত এক বছর। এই পরিস্থিতিতে ওই অফিসারের ভূমিকার কথা কর্মিবর্গ দপ্তরকে জানিয়ে পরবর্তী প্রশাসনিক ও বিভাগীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন শিক্ষাকর্তারা।
আরও পড়ুন – এই দুই সস্তার দুই ফোনের মধ্যে সেরা কে ?
প্রসঙ্গত, এর আগেও হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে CBI। এদিন তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি সুবিধাভোগীদের কেন ছেড়ে রেখেছেন? তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করুন। তদন্ত শেষ না হলে মামলা ঝুলে থাকবে। সেক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। স্কুলে বহু পদ শূন্য থেকে যাবে।”
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেদিনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI -র উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। শুধু তাই নয়, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় CBI-র Special Investigation Team বা SIT-র তদন্তকারী অফিসারকে (Investigating Officer) সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই দিনই CBI-র দেওয়ার রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। “সমাজ থেকে জঞ্জালদের সরিয়ে যোগ্যদের জায়গা করে দিন।” ওই দিন বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এছাড়া ৩১ জানুয়ারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনকেও ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি।