ফেসবুকে প্রেম তারপরেই প্রেমিকাকে সোনাগাছিতে বিক্রি! নারী পাচার চক্রের হদিস মিলল কলকাতায়

ফেসবুকে প্রেম তারপরেই প্রেমিকাকে সোনাগাছিতে বিক্রি! নারী পাচার চক্রের হদিস মিলল কলকাতায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ফেসবুকে প্রেম তারপরেই প্রেমিকাকে সোনাগাছিতে বিক্রি! নারী পাচার চক্রের হদিস মিলল কলকাতায়

নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় নাবালক। এর পর তাকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই নাবালক। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ। সেই সূত্রে প্রেম নাবালিকা এবং নাবালকের। কিন্তু ‘প্রেমিকা’কে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সোনাগাছিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নাবালকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলা থানায়। পুলিশ কলকাতার ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করেছে ওই নাবালিকাকে। পাশাপাশি, ওই কাণ্ডে সোনাগাছির এক যৌনকর্মী এবং ওই নাবালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যিনি ওই নাবালিকাকে কিনেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

 

আরও পড়ুন –  ‘এক মিনিটে ফাঁকা করে দেব, না-হলে তৃণমূলের ঝান্ডাই ধরব না’, কাকে খোলা…

 

ধৃত প্রাপ্তবয়স্ক দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার হাজির করানো হয় কাকদ্বীপ আদালতে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ।এছাড়াও ঢোলা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় নাবালক। এর পর তাকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই নাবালক। এর পর গত ৩১ জানুয়ারি ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। প্রাথমিক ভাবে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতার ধর্মতলা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তারা। মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‘‘মেয়েটিকে আমরা কলকাতার ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করি। মেয়েটি একটি ছেলের নাম বলে। জানায় যে, সেই ছেলেটি ওকে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই নাবালককে গ্রেফতার করে জানতে পারি, ওই কাণ্ডে আরও এক জন জড়িত। তাঁকেও আমরা গ্রেফতার করি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে বিক্রি করার ঘটনায় জড়িত মেহরানা খাতুন ওরফে তানিয়া নামে সোনাগাছির এক যৌনকর্মীও। তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। তিনি আরও জানিয়েছেন, জাইদুল নামে এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে কিনেছিলেন। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে ওই নাবালিকাকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top