১০ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় l তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যাচ্ছেন শিলিগুড়িতে । বিরোধীদের বিরুদ্ধে শান বাড়াচ্ছেন উদয়নরাউদয়নের দাবি, “জীবন সিংহ যতই বিজেপি নেতাদের নিয়ে শান্তিবার্তা চালান, এ রাজ্যে এলে গ্রেফতার হবেন কেএলও চিফ। আলাদা রাজ্যে নিয়ে বিজেপি ক্ষমতা থাকলে তাদের অবস্থান একযোগে স্পষ্ট করে বলুক।”
১০ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে বিকালে উত্তরের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। ১১ ফেব্রুয়ারি মাথাভাঙায় জনসভায় যোগ দেবেন অভিষেক। অভিষেকের এই সফরেই উত্তরের শাসকের অবস্থান নিয়ে দলের স্ট্রাটেজি নির্ধারণ করা হবে বলে ঘাসফুল সূত্রে খবর। অভিষেকের সভার আগে বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, উত্তরের জনজাতিকে ভুল বুঝিয়ে উন্নয়নের প্রচারকে দূরে সরিয়ে প্রতিবার ভোট লুঠ করে বিজেপি। এবার সেই চেষ্টা রোখা হবে।
অভিষেকের সফরের ৪৮ ঘন্টা আগে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন উত্তরের শাসক নেতারা। তাঁদের দাবি, আদৌ আলাদা রাজ্য চান কিনা তা স্পষ্ট করুক, নিজেদের ট্রাম্প কার্ড সামনে আনুক গেরুয়া ব্রিগেড। মন্ত্রী উদয়ন গুহ ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন মহুয়া গোপ, কানাইয়া লাল আগরওয়ালা, শান্তা ছেত্রী, পাপিয়া ঘোষ ও অন্য নেতৃত্ব। উদয়ন গুহ বলেন, “অনন্ত মহারাজ বা জীবন সিংহকে সামনে রেখে আলাদা রাজ্য? কি চান স্পষ্ট করুন বিজেপি নেতারা।” একই সঙ্গে উদয়নের দাবি, “জীবন সিংহ যতই বিজেপি নেতাদের নিয়ে শান্তিবার্তা চালান, এ রাজ্যে এলে গ্রেফতার হবেন কেএলও চিফ। আলাদা রাজ্যে নিয়ে বিজেপি ক্ষমতা থাকলে তাদের অবস্থান একযোগে স্পষ্ট করে বলুক।”
প্রসঙ্গত, রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। উত্তরের এই বিধায়কের দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি অনেক বিজেপি নেতাই এবার তৃণমূলে আসছেন? জল্পনার মধ্যেই উত্তরে গেরুয়ার ভিত টলাতে যাচ্ছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন –অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রবীনা টন্ডন
জলপাইগুড়ির জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “আমাদের প্রচারে নানা খামতি ছিল। তাই এবার ঐক্যবদ্ধ প্রচার। বিজেপিকে ভোট নিয়ে যেতে দেব না। আলাদা রাজ্য নিয়ে ওদের চ্যালেঞ্জ করছি আমরা। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আসছেন। আমরা বৈঠকে বসব। উত্তরে এবার তৃণমূলের ভালো ফলের অপেক্ষায় আছি আমরা।”