১৬ লক্ষ টাকার জুতো চুরি করে গ্রেফতার এক লরি-চালক, ষড়রিপুর মধ্যে অন্যতম হল লোভ। মানুষের যতই সম্পত্তি টাকা-পয়সা থাক, তার নিজের কাছে তা সবসময়ই কম মনে হয়। আরও আরও টাকার লোভে ছুটতে থাকে মানুষ। কথায় বলে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। লোভের পরিণতি যে সবসময়ই মৃত্যু, তা হয়তো নয়। কিন্তু লোভের বশবর্তী হয়ে এমন অনেক কাজ করে বসে মানুষ, যার জল গড়ায় সামাজিক সম্মানহানি থেকে শুরু করে আরও অনেক দূর পর্যন্ত। সম্প্রতি তেমনি একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে যেখানে একজন কোটিপতি জুতো চুরির (Stealing Shoes) দায়ে আরেকটু হলেই জেলে যেতে বসেছিলেন।
৪৩ বছর বয়সি ডেভিড সুইটম্যান পেশায় একজন লরি চালক। ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই ভাগ্য বদলে যায় তাঁর। একধাক্কায় ১ কোটি টাকার লটারি (1 Crore Lottery) জিতেছিলেন তিনি। কোটিপতি হয়ে যাওয়ার পরেও লরি চালানো বন্ধ করেননি ডেভিড। আর সেই লরিতে করেই জুতো চুরি করতেন তিনি। চুরির ঘটনায় রীতিমতো হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি।
চুরির ঘটনা সামনে আসার পরেই গ্রেফতার করা হয় ডেভিডকে। তাঁকে আদালতে তোলা হলে সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত জানায়, যেহেতু দু’বছর আগের ঘটনায় ডেভিড ভুল স্বীকার করেছেন এবং তিনি সেই ঘটনায় অনুতপ্ত, তাই এতদিন পর তাঁকে নতুন করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না।
ডেভিডের উকিল জানিয়েছেন, বর্তমানে লরি চালানোর কাজ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এখন বাড়িতে জানলা লাগানোর কাজ করেন তিনি। আর সেই কাজ করেই সাপ্তাহিক ৩০০ পাউন্ড রোজগার করেন ডেভিড।
আরও পড়ুন – ১৬ লক্ষ টাকার জুতো চুরি করে গ্রেফতার এক লরি-চালক
সূত্রের খবর, ডেভিডের কাজ ছিল তাঁর লরিতে করে বিভিন্ন সংস্থা থেকে জুতো নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই কাজ করার মধ্যেই বেশ কিছু জুতো চুরি করে অন্যত্র পাচার করে দিতেন ডেভিড। সিসিটিভি ক্যামেরায় সমস্ত ঘটনা ধরা পড়েছে। তাতে জানা গেছে, নিয়মিত জুতো চুরি করতেন ওই ব্যক্তি। এমনকী, এই চুরির কাজ করার জন্য আলাদা করে লোকও রেখেছিলেন তিনি। ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগেই অন্য গাড়িতে বেশ কিছু জুতো সরিয়ে ফেলতেন তিনি। এভাবেই ২০২০ সালের অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় টাকায় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার জুতো চুরি করেছিলেন ডেভিড, এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।