রায়দান স্থগিতের মাঝেই নিয়োগ বাতিল কেন? ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিল, আবার ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন ৬১৮ জন শিক্ষক! সোমবার রাতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ‘অযোগ্য’ বলে গণ্য ৮০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিল করে এসএসসি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই নতুন আবেদন। চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল হয়ে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন নিয়োগ বাতিল হওয়া ৬১৮ জন শিক্ষক। তাঁদের প্রশ্ন, নিয়োগ বাতিল নিয়ে যখন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা চলছে এবং তার রায় দান স্থগিত রাখা হয়েছে, তখন কী করে এমন সিদ্ধান্ত নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন? তাঁদের কি রায় দান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল না?
সোমবার রাতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালে নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ বলে গণ্য ৮০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিল করে এসএসসি। এ ব্যাপারে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার জবাবে সএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ওই শিক্ষকদের সুপারিশ পত্র বাতিল করা হবে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল করে এসএসসি। এসএসসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই ৬১৮ জনের অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে দুই-বা তিন পেয়েছেন। আপাতত এই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করেলেও পরে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে। এসএসসির সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই ৬১৮ শিক্ষক।
আরও পড়ুন- কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করার সুযোগ হারাবেন এই ৪ রাশির জাতকরা
মঙ্গলবার এ ব্যাপারে হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ওই ৬১৮ জন শিক্ষক। তাঁরা এ বিষয়ে অতিরিক্ত হলফনামাও জমা দিতে চেয়েছিলেন। ওই শিক্ষকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে তাঁরা মামলাটি শুনবে। বুধবার এ সংক্রান্ত শুনানি হবে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার রাতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালে নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ বলে গণ্য ৮০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিল করে এসএসসি।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )