এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি কর্মীদের

এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি কর্মীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি কর্মীদের l স্কুলের গ্রুপ ডি পদ থেকে চাকরি যাওয়া কর্মীরা আদালতে সওয়াল করেন, তাঁরা ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। যথাযথ শ্রমও তাঁরা এই চাকরিতে দিয়েছেন। তা হলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? কলকাতা হাই কোর্টের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ চাকরি হারানো গ্ৰুপ ডি কর্মীরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। পাশাপাশি, সরকারের কাছে থেকে নেওয়া বেতনও তাঁদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ওই চাকরিপ্রাপকরা চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বার বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েও বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।

 

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।স্কুলের গ্রুপ ডি পদ থেকে চাকরি হারানোরা আদালতে সওয়াল করেন, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছেন। তা হলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? এর পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হবে।

 

আরও পড়ুন –  শুভেন্দুকে ছাড়াই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে, রাজ্যের নতুন তথ্য কমিশনার প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্র

এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি এসএসসিকে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপক ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন এত দিন ধরে চাকরি করে আয় করা বেতন ফেরত দেওয়ারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসিকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১,৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top