অস্বস্তিতে মহানগর ! কেমন থাকবে আবহাওয়া? গত কাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বর গড়াতেই শীতের শিরশিরানি টের পেতে শুরু করেছিল কলকাতা। দিন যত যাচ্ছিল, ফ্যানের রেগুলেটরের স্পিড কমছিল। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে পারদ কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বমুখী হয়। এমনকি বড়দিনেও শরীরে গরম জামা রাখতে রীতিমতো অস্বস্তি হয়েছে শহরবাসীর। নতুন বছর থেকে অবশ্য টানা শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। মাঝখানে কিছুটা ছন্দপতন হলেও ফের মেজাজে ফিরেছিল শীত। কিন্তু ফের গায়েব হয়ে যায় ঠান্ডা। আর এখন তো ওঠানামা চলছে। গত কাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (relative humidity) পরিমাণ ছিল ৮৮ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে। বেলার দিকে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পূর্বাভাস রয়েছে। তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আরও পড়ুন – অক্ষয় কুমারের সঙ্গেই কী ছুটি কাটাচ্ছেন মিমি? দুজনেরই পরণে এক পোশাক!
জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। কালীপুজোও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত ছিল না। কিন্তু হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশে অস্বস্তি বেড়েছে শহরের।