দু’লক্ষ টাকার পরিবর্তে মানিক ভটাচার্যকে দ্বিগুন টাকা জরিমানা দিতে হবে। নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ করা হল। দু’লক্ষ টাকার পরিবর্তে তাঁকে চার লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে সোমবার এমন নির্দেশই দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মালারানি পাল নামে এক পরীক্ষার্থী আট বছর ধরে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল জানতে পারেননি। সে কারণে পর পর দু’বার টেটে বসতে পারেননি তিনি। পরীক্ষার্থীদের কেরিয়ার নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’র জন্য পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকেই দায়ী করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত জানুয়ারি মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মর্মে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। একই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মানিককে ওই অর্থ ১৫ দিনের মধ্যেই দিতে হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে জেলবন্দি মানিককে জরিমানার দু’লক্ষ টাকা দিতে হবে। বেঞ্চ এ-ও জানিয়েছিল, হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়া ওই টাকা স্বল্প মেয়াদি প্রকল্পে সঞ্চিত থাকবে। তৃণমূল বিধায়ক মানিকের পক্ষে আদালতের রায় গেলে তিনি টাকা ফেরত পাবেন। এ বার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই জরিমানার অঙ্কই দ্বিগুণ করলেন।
আরও পড়ুন – দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে সাংসদের গাড়ি,বড় দুর্ঘটনার কবলে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্টে তাঁর আইনজীবী নির্দেশ পরিবর্তনের আর্জি জানান। তার পরেই জরিমানার অঙ্ক দু’লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লক্ষ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।অন্য দিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন মানিক। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এ নিয়ে এখনও কোনও রায় জানায়নি। এছাড়াও বিচার গঙ্গোপাধ্যায় এ-ও জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন বলেই এক পরীক্ষার্থী ফল জানতে পারেননি। মালারানির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ‘অর্থদণ্ড’ দেওয়া হয়েছিল মানিককে। ২০১৪ সালের টেটে বসেছিলেন মালারানি। অভিযোগ, পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তাঁকে জানায়নি। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষাতেও বসতে পারেননি তিনি। তাঁর আইনজীবীর করা মামলার প্রেক্ষিতেই মানিককে জরিমানা করা হয়েছিল।