‘নওশাদকে এতদিন জেলে রাখার মানে হয় না’, বললেন খোদ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় এক কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছিল, এক সঙ্গে এত জন গ্রেফতার! এবার বিস্ময় প্রকাশ করলেন খোদ বিধানসভার স্পিকার। তবে, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) এতদিন জেলে থাকা নিয়ে। বুধবার বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, এতদিন জেলে নওশাদকে রাখার মানে হয় না। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ব্যক্তিগত এবং একজন আইনজীবী হিসাবে বলে জানিয়েছেন। তা নিয়ে বিধানসভার স্পিকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় এক কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। রাস্তা বন্ধ করার অপরাধে ৮৮ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা উঠলে এত জনের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, “একসঙ্গে এতজন গ্রেফতার।” তবে নওশাদ সম্পর্কে বিচারপতিদের মন্তব্য ছিল, নেতার সংযত থাকা উচিত। একজন নেতার নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়া উচিত নয়। তাঁর নজর রাখা উচিত ছিল। আইএসএফ নেতা আপাতত জেল হেফাজতে। ৩২ দিনের বেশি জেলে রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১ মার্চ পরবর্তী নওশাদ মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন – পাহাড়ের বনধ স্থগিত, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর জানিয়ে দিলেন বিনয় তামাংরা
বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, এতদিন জেলে নওশাদকে রাখার কোনও মানে হয় না। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী কী করছেন? উনি তো স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা নিতে পারেন। নির্দেশ দিতে পারেন। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলছি।” বিমানবাবুর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্পিকার হিসাবে বিমান বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিমানবাবু আইনজীবী হিসাবে এই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু স্পিকার পদ তো নিরপেক্ষ। সেক্ষেত্রে স্পিকার হিসাবে নওশাদ হয়ে সওয়াল করেননি তিনি। শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি শমীকের মন্তব্য, নওশাদ ভাল ছেলে। নওশাদের মুখ থেকে কখনও জেহাদ করবো, এমন বক্তব্য আমরা শুনিনি।