লাইনচ্যুত হয়ে খেলনার মতো উল্টে গেল টয় ট্রেন, লাফিয়ে বাঁচলেন চালক,লাইনচ্যুত হয়ে রাস্তার উপর উল্টে গেল টয় ট্রেনের ইঞ্জিন। পাহাড়ে ভরা মরশুমে এভাবে টয় ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।শুক্রবার বেলার দিকে কার্শিয়াঙে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় অবশ্য কেউই জখম হননি। টয় ট্রেনের ইঞ্জিনটিকে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘কোনও যাত্রী ছিলেন না ট্রেনে। চালক এবং সহ-চালক ছিলেন। খুবই ধীর গতিতে ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেনটিকে রাস্তা থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কেউ আহত হননি। মেরামতির জন্য তিনধারিয়া স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ট্রেনটিকে।’’
কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, কার্শিয়াং থেকে দু’টি কামরা-সহ ইঞ্জিনটিকে তিনধারিয়া শেডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কার্শিয়াং থেকে বেরোনোর পথেই ঘটনাটি ঘটে। কার্শিয়াং স্টেশন ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। তবে ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিলেন না। চালক, সহ-চালক থাকলেও তাঁরা আহত হননি। বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তার উপর পড়ে থাকার পর দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে ট্রেনটিকে সরানোর কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় কার্শিয়াংগামী রাস্তায় যান চলাচল কিছুটা সময়ের জন্য ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন – যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এজলাস থেকে বেরিয়ে যেতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
এদিকে, ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে টয় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তারপর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনটি আবার সোজা করে কারশেডের দিকে রওনা করায়। তবে সড়কের একদিক বন্ধ রেখে ট্রেনটি সোজা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। ভর দুপুরে জাতীয় সড়কের একদিক বন্ধ থাকার জেরে গোথেলস সাইডিং এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক গাড়ি। উদ্ধারকারী দলের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টা ট্রেনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে ধীরে-ধীরে যানজটমুক্ত হয় গোথেলস সাইডিং এলাকা। তবে পাহাড়ে ভরা মরশুমে এভাবে টয় ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।