‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য হয়তো DA দিতে পারছি না’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিধায়ক চিরঞ্জিত, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার ও সরকারী কর্মীদের দ্বৈরথ তুঙ্গে। তারই মাঝে বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মন্তব্যে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্যই কী বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।
ডিএ নিয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর শোরগোল। সম্প্রতি ডিএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে সব মিলিয়ে ৬ শতাংশ হারে সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন বলেই জানানো হয়েছে। তবে তাতেও মন গলেনি সরকারি কর্মীদের একাংশের। আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা, ছোড়া হল বোমা, রাজ্যে ফের আক্রান্ত…
শুক্রবার মধ্যমগ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলছিল। তাতেই ‘দিদির দূত’ হয়ে এলাকায় যান বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। একাধিক বিষয়ের মাঝে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “কেন্দ্র সরকার যে শতাংশ ডিএ দিচ্ছে আমরা দিতে পারছি না। আমরা হয়তো অন্য জায়গায় দিচ্ছি। আসলে অনেকগুলো প্রকল্প আছে সেই খাতে টাকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্র সরকার টাকা দেয় না তার জন্য নিজেদের থেকে টাকা ওই খাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের এখন প্রত্যেকের বাড়ি যেতে হচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা লাগছে। কেন্দ্র যেগুলো দেয় না, আমরা সেই প্রকল্পের পরিষেবাও মানুষের কাছে পৌঁছে দিই। সে কারণে বাজেটের বিপুল অঙ্কের টাকা সেদিকে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা ডিএ’র পুরোটা দিতে পারছি না।”
ডিএ নিয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর শোরগোল। সম্প্রতি ডিএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে সব মিলিয়ে ৬ শতাংশ হারে সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন বলেই জানানো হয়েছে। তবে তাতেও মন গলেনি সরকারি কর্মীদের একাংশের। আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং youtube )