মণীশের পাশাপাশি সরলেন কেজরীর ‘ঘনিষ্ঠ’ সত্যেন্দ্রও, দিল্লিতে ইস্তফা ধৃত দুই আপ মন্ত্রীর, গত ৩০ মে হাওয়ালায় বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন (satyendra jain)। ২৬ ফেব্রুয়ারি আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন মণীশ সিসৌদিয়া (Manish Sisodia)। গ্রেফতারির ব্যবধান প্রায় ৯ মাসের। কিন্তু মঙ্গলবার একই সঙ্গে ইস্তফা দিলেন দিল্লির আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ঘটনাচক্রে, যাঁরা দু’জনেই আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।
সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পরেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কেজরীওয়াল। দাবি করেন, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi )সরকারের তদন্ত সংস্থা। এর পর জেলবন্দি সত্যেন্দ্র আর ইস্তফা দেননি। সিসৌদিয়ার (Manish Sisodia) গ্রেফতারির পরেও একই সাফাই মিলেছে আপের তরফে। কিন্তু দুর্নীতি মামলার ধৃতদের মন্ত্রিসভায় বহাল রাখা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় মণীশ-সত্যেন্দ্রকে ইস্তফা দেওয়ার ‘বার্তা’ পাঠানো হয় বলে ওই সূত্রের খবর।
২০১১ সালে অন্না হজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন এবং লোকপালের দাবিতে সওয়ার হয়েই কেজরীওয়ালের উত্থান। কালক্রমে, সেই আন্দোলনের পরিসর দখল করে আপ-কে শক্ত জনভিত্তির উপর দাঁড় করান তিনি। দুর্নীতি মামলার ধৃতদের মন্ত্রিসভায় বহাল রাখা হলে যে দলের এবং তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রাক্তন আমলা কেজরীওয়াল তা আঁচ করেই মণীশ-সত্যেন্দ্রর ইস্তফা তলব করেন বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অনুমান।গত ৩০ মে হাওয়ালায় বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন। ২৬ ফেব্রুয়ারি আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন মণীশ সিসৌদিয়া। গ্রেফতারির ব্যবধান প্রায় ৯ মাসের।
আরও পড়ুন – ফেব্রুয়ারির শেষে কী বলছে কলকাতার আবহাওয়া?
আপের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল মণীশ (Manish Sisodia) এবং সত্যেন্দ্রর (Satyendra Jain) ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। দ্রুত মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলেও ওই সূত্রের দাবি। প্রসঙ্গত, দফায় দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আবগারী দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর আগে গত বছরের ৩০ মে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সত্যেন্দ্র।