রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাই কোর্ট ! নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চান শুভেন্দু! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে আগামী ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, শুক্রবারের মধ্যে এ বিষয়ে রাজ্যকে তথ্য দিতে হবে। আদালতে জমা দিতে হবে কেস ডায়েরিও। আগামী শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
হাই কোর্টের কাছে শুভেন্দুর আইনজীবী আর্জি জানিয়েছেন, দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করুক সিবিআই। কারণ, ওই ঘটনার পর সিআইএসএফ এফআইআর দায়ের করতে গেলে স্থানীয় থানা তা গ্রহণ করেনি। উল্টে বিজেপির প্রায় ৪০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা থাকছে।
কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি)-র যুক্তি, প্রোটোকল অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের। তিনি যেখানে যাবেন সেখানেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু রাজ্য তা করতে ব্যর্থ। তারা এ নিয়ে কোনও তদন্তই করেনি। এমনকি, জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। একে ভয়ঙ্কর ঘটনা বলে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, ‘‘দেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী হামলার শিকার হচ্ছেন। তার পরও কেন কোনও পদক্ষেপ নয়? এই ঘটনায় আমরাও চাই সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত করুক।’’
কেন্দ্রের আরও এক আইনজীবী জানান, এর আগের অনেক ঘটনায় দেখা গিয়েছে যে, পুলিশ তাদের কাজ করছে না। নিশীথকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট আসা উচিত ছিল। এখন নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা উচিত। এর পরই হাই কোর্ট রাজ্যের কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে।
আরও পড়ুন – না পোষালে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগ দিন, ডিএ নিয়ে আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ…
নিশীথের কনভয়ে হামলায় ঘটনায় এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তাঁর আইনজীবীর সওয়াল করেন, শনিবারের ওই ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আগে থেকেই দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের প্ররোচনা ছিল। তার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় এবং গাড়িতে শাসকদলের কর্মীরা হামলা চালান। ঢিল ছোড়া হয়, বোমা মারা হয়। লাঠি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে। এমনকি, তাঁর জীবনহানিও হতে পারত। একই সঙ্গে তৃণমূল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন মামলাকারীর আইনজীবী। অভিযোগ করেন, ওই ‘কর্মসূচি’র পরই এই অশন্তির ঘটনা ঘটে। শাসকদলের দুষ্কৃতীরা কোচবিহারের সাহেবগঞ্জে বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালায়।