দোল মানেই নানা রঙের মেলা, রান্নাঘরের এই ৪ জিনিস দিয়ে তৈরি করুন ‘হার্বাল’ আবির,বিষাক্ত রাসায়নিক রঙ ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক রঙই ব্যবহার করতে পারেন প্রিয়জন ও পরিবেশকে রক্ষা করতে রান্নাঘরের বেশ কিছু উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন হার্বাল আবির। দোল উত্সব, বসন্ত উত্সব, হোলি নানা নামে সারা দেশে এই রঙিন উত্সব পালন করা হয়। দোল হল হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে রঙিন ও সেরা উত্সবগুলির মধ্যে অন্যতম। ভগবান কৃষ্ণের জীবনের সঙ্গে এই হোলি বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে আছে। ব্রজ এলাকায় হোলি উদযাপন করা হয় ধুমধাম করে। মথুরা, বৃন্দাবন, গোবর্ধন, গোকূল, নন্দগাঁও বা বরসানা খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বারসানায় লাঠমার হোলি বিশ্ববিখ্যাত। দোল মানেই নানা রঙের মেলা। বসন্ত ঋতুতে পলাশ ফুলের সারিতে মন যেন বিপথে চলে যাওয়ার আহ্বান করে। এই সময় উজ্জ্বল বেশ কিছু ফুল ফোটে যা ভেষজ কাজে ব্যবহারও করা হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোলির জমপ্রিয়তা লাভ করলে প্রাকৃতিক রঙের ব্যবহার বিলীন হয়ে যায়। তার বদলে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক রঙের তুলনায় ওই রঙগুলি সস্তা, স্বাস্থ্যের জন্য় একেবারেই উপযুক্ত নয়। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ।বাজারে ভেষজ বা হার্বাল আবির পাওয়া যায় বর্তমানে। সেগুলি কিনে ব্য়বহার করলে দোল উত্সব অনেকটাই নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে। বিষাক্ত রাসায়নিক রঙ ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক রঙই ব্যবহার করতে পারেন প্রিয়জন ও পরিবেশকে রক্ষা করতে রান্নাঘরের বেশ কিছু উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন হার্বাল আবির। প্রাথমিকভাবে সময়সাপেক্ষ হলেও তা নিরাপদ ও প্রাকৃতিক। এবারের হোলিকে যদি বিশেষ ও আরও উত্সবমুখর করে তুলতে চান তাহলে হার্বাল রঙ কীভাবে বানাবেন তা জেনে নিন এখানে…
হলুদ: উজ্জ্বল রঙের আবির বানাতে হলুদ রঙ বেছে নিতে পারেন। আর এই রঙ শক্তি, সুখী জীবনের প্রতীক। হলুদের রঙ বানাতে ১:২ অনুপাতে বেসনের সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তা থেকে শুকনো হলুদের গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে। এছাড়া যদি ফুল দিয়ে বানাতে চান, তাহলে গাঁদা বা হলুগ চন্দ্রমল্লিকার ফুল গুঁড়ো করে জলের মধ্যে মিশিয়ে জল রঙ তৈরি করতে পারেন।
সবুজ: মেহেন্দি পাউডার ব্যবহার করে সবুজ রঙের আবির ব্যবহার করতে পারেন। ভেজা রঙের জন্য পালং শাক বা নিমের পাতার মতো সবুজ শাক-সবজি ব্যবহার করতে পারেন। পাতাগুলি জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে তা সবুজ রঙ ধারণ করবে।
ম্যাজেন্টা: বিটরুট বা গোলাপী রঙের কোনও ফল হল এই রঙের ভালো উত্সকেন্দ্র। বিটরুট কেটে জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক ঘণ্টা। এরপর মিশ্রণটি সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন। যদি গাঢ় গোলাপী হালকা করতে চান তাহলে মিশ্রণটি একটু পাতলা করে নিন।
আরও পড়ুন – আপাতত বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার ! আগের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা…
লাল: শুকনো লাল জবা ফুল ব্যবহার করে লাল রঙ প্রস্তুত করতে পারেন। সঠিকভাবে শুকনো জবা ফুল ভালো করে পিষে নিন। এরপর তাতে লাল চন্দ্ন ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো লাল রঙের আবির ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ চালের আটা যোগ করতে পারেন। জল রঙ করার জন্য বেদানার খোসা সিদ্ধ করতে পারেন।