হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনই বেকসুর খালাস করল আদালত,অন্যদিকে, মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হল। আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বছর কুড়ির এক দলিত তরুণীকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে উচ্চবর্ণের ওই চারজনের বিরুদ্ধে। রাতারাতি নির্যাতিতাকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস থেকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের কাছে তাঁর শেষ বয়ানে নির্যাতিতা জানান, তিনি তাঁর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ঘাস কাটছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর গলায় ওড়না জড়িয়ে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় সন্দীপরা। পরে দিল্লির হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
তবে বিতর্ক আরও দানা বাঁধে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপে। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারকে গৃহবন্দি রেখে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই তরুণীর শেষকৃত্য পালন করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন – আগামীদিনে জোট হবে মানুষের সঙ্গে,’২৪-এ কারও হাত ধরবে না তৃণমূল, জানিয়ে দিলেন.
বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঠাকুর, সন্দীপের কাকা রবি এবং তার তুতো ভাই লব এবং কুশকে আদালতে পেশ করা হয়। সন্দীপ ছাড়া বাকি তিনজনকেই বেকসুর খালাস করে আদালত। মূল অভিযুক্ত সন্দীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অপরাধমূলক) দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
(সব খবর,ঠিক খবর প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )