উদাসীন প্রশাসনও! নামেই ‘ভেষজ’, কিন্তু, সেগুলি আদৌ ভেষজ আবির ? বড়বাজারে দোলের আগে বিক্রি হচ্ছে রং। নামেই ভেষজ। কিন্তু, রঙের জেল্লার দাপটে হার মানাতে পারে রাসায়নিক আবিরকেও! দোলের আগে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, এমন আবিরেরই রমরমা। কিন্তু, সেগুলি আদৌ ভেষজ কি না, সেই শংসাপত্র দেওয়ার কেউ নেই। এক-একটিতে ‘ভেষজ’ লেখা স্টিকার সাঁটা। বেশির ভাগ প্যাকেটে তা-ও নেই। এই ধরনের আবিরের কোথায় পরীক্ষা হয়েছে, কারা পরীক্ষা করেছেন, তার কোনও তথ্য নেই। নেই ক্রেতাদের সচেতনতাও। পুলিশি নজরদারিও চোখে পড়ে না। উদাসীন প্রশাসনও। অভিযোগ, নিষিদ্ধ বাজি ঘিরে যতটা প্রতিবাদ বা মামলা করার উদ্যোগ দেখা যায় পরিবেশকর্মীদের মধ্যে, এ ক্ষেত্রে তা-ও নেই। বেশ কিছু বিক্রেতা আবার ভেষজ আবির বলে যে কিছু হয়, তা যেন শোনেনইনি কখনও!
পরিবেশবিদ ও গবেষকদের দাবি, এই সুযোগেই বিকোচ্ছে সব ধরনের আবির। বড়বাজারে ভেষজ আবিরের নামে চকচকে এক জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এমনই একটি দোকানের মালিক সোনু সিংহ বললেন, ‘‘এটাই ভেষজ আবির। যত চকচকে হবে, ততই পরিবেশবান্ধব!’’ যদিও গবেষকেরা বলছেন উল্টোটা। তাঁদের দাবি, ভেষজ আর ভেজাল আবিরের মূল পার্থক্য, ভেষজ আবির মাত্রেই তা চকচকে হবে না।
আরও পড়ুন – গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল।
২০০৫ সালেই অবশ্য ভেষজ আবির তৈরির পদ্ধতি দেখিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফি-বছর এই ধরনের আবির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে বিক্রিও করা হয়। রাজ্যের বহু জেলায় যাদবপুরের শেখানো পথে সে সব তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি সাহায্য বিশেষ না থাকায় বহু ক্ষেত্রেই ওই আবির বেশি মাত্রায় বাজারে পৌঁছচ্ছে না।