OMR কাণ্ডে কারা ‘রুমালকে’ ‘বেড়াল’ করল জানাল কমিশন,এই মামলায় ৩ হাজারের বেশি ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমআর শিট বিকৃতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, উঠেছে নবম-দশমের নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) গ্রুপ সি নিয়োগের ক্ষেত্রেও। শুক্রবার সেই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন হলফনামা জমা দিতেই বিস্মিত বিচারপতি। সেই একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি! উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা ‘নায়সা’ (NYSA) আর কমিশনের সার্ভারের নম্বরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। কমিশনের সার্ভারে যে প্রার্থী পেয়েছেন ১০, ‘নায়সা’র সার্ভারে সেই নম্বর বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৪০। হলফনামায় এই তথ্য সামনে আসার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ‘এটা কি করে সম্ভব
সিবিআই ও কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজিয়াবাদ থেকে ৩৪৭৮ টি ওএমআর উদ্ধার করা হয়েছে। কমিশন হলফনামায় জানিয়েছে, এর মধ্যে ৩০০ টি ওএমআর বিকৃত করা হয়নি। আগামী ৯ মার্চ বাকি ওএমআর প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবারের শুনানিতে এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি ভাল বলতে পারবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কারণ তিনিই সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই-এর উচিৎ এদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা। উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি।
আরও পড়ুন – উদাসীন প্রশাসনও! নামেই ‘ভেষজ’, কিন্তু, সেগুলি আদৌ ভেষজ আবির ?
এই মামলাতেও কমিশনকে ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের চাকরিতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সে সব নমুনা দেখে বলেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’ আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করেছিল কমিশন।
কারা করল এমন কাজ? কমিশনের তরফে এদিন আদালতে সাফ জানানো হয়েছে, সেই সময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমন কাজ করে থাকতে পারে। এই মামলায় ৩ হাজারের বেশি ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।