মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব-আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ গড়ছে সুপ্রিম কোর্ট।

মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব-আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ গড়ছে সুপ্রিম কোর্ট।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব-আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ গড়ছে সুপ্রিম কোর্ট। কর্নাটকের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে হিজাব পরার অনুমতি চেয়ে কয়েক জন মুসলিম ছাত্রীর আবেদনের শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গড়বে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এ কথা জানিয়ে বলেছে, ‘‘তিন বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।’’

 

 

 

গত ২৬ জানুয়ারি কর্নাটক সরকার এ বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। ঘোষণা করা হয়, কমিটি নির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগে পর্যন্ত ছাত্রীরা কেবলমাত্র ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন। হিজাব বা গেরুয়া উত্তরীয়— কিছুই পরার অনুমতি নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদুপির কয়েক জন ছাত্রী কর্নাটক হাই কোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। তাঁরা আদালতকে জানান, হিজাব পরা তাঁদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কোনও ভাবেই তা বাতিল করা যায় না। ১০ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতুরাজ অবস্তি, বিচারপতি কেএস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজি অন্তর্বর্তী রায়ে বলেন, ‘‘যত দিন না রায় ঘোষণা হচ্ছে, কর্নাটকে স্কুল-কলেজ খুলতে পারে কিন্তু কোনও পড়ুয়া ধর্মীয় প্রতীকমূলক কোনও পরিধান করে সরকারি স্কুল-কলেজে আসতে পারবেন না।’’

 

 

 

 

 

এর পর মার্চ মাসে কর্নাটক হাই কোর্ট মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে জানায়, ইসলামে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়। এর পর আবেদনকারীরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু গত অক্টোবরে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ‘খণ্ডিত রায়’ দেওয়ায় মামলাটি এখন উচ্চতর বেঞ্চে গিয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় কর্নাটক সরকারের ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের নির্দেশ’ এখনও বহাল রয়েছে।

 

আরও পড়ুন – বসন্ত এসে গেছে ,এবার দোল নিয়ে বড় নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

 

আগামী ৯ মার্চ থেকে কর্নাটকের স্কুলগুলিতে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আবেদনকারী পক্ষের দাবি, হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কয়েক জন ছাত্রী সরকারি স্কুল ছেড়ে বেসরকারি স্কুলে চলে গিয়েছে। তবে পরীক্ষা দিতে তাদের সরকারি স্কুলে যেতে হবে। হিজাব পরার অনুমতি না পেলে তাদের একটা বছর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top