প্রকাশ্যে হেনস্থার শিকার সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী,FIR করলেন শিল্পী l বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক লাইভ করে নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। রাতেই এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম রঞ্জন মজুমদার। বৃহস্পতিবার রাতেই রিজেন্ট পার্ক থানায় (Regent Park) ফোন করে গোটা ঘটনা জানান ইমন। এরপরই পুলিশ এসে রঞ্জনকে গ্রেফতার করে। ইমন (Iman Chakrabarty) জানান, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন এবং আরও দুই বন্ধু ছিলেন। এতজন থাকা সত্ত্বেও, ওই ব্যক্তি তাঁকে ‘ভিজুয়াল অ্যাবিউজ’ করেছেন। ইমনের (Iman Chakrabarty) প্রশ্ন, তাহলে ওই এলাকায় কোনও একাকি মহিলা যাতায়াত করলে তাঁর আদৌ কি কোনও নিরাপত্তা থাকবে?
ফেসবুক (Facebook) লাইভে ইমন (Iman Chakrabarty)বলেন, “ওই ব্যক্তি এমনভাবে দেখছিল, আমার সর্বাঙ্গ মাপছে মনে হচ্ছে। তাতে ওর একটা যে প্লেজার হচ্ছে সেটাও বুঝতে পারছি। পারভারশানটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। আমার সঙ্গে আমার বর ছিল, বন্ধুরা ছিল। আমি গাড়িতে ওঠার সময় ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, কোনওদিন মেয়ে দেখেননি। তাও তাকিয়েই আছেন। আমি এটা সহ্য করতে পারিনি। কারণ, এটা সমস্ত মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়।” এরপরই গাড়ি থেকে আবারও নেমে যান ইমন। রঞ্জনের সামনে গিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন, কেন এভাবে ইঙ্গিত করছেন। ইমনের (Iman Chakrabarty) কথায়, “প্রশ্ন শুনে আকাশ থেকে পড়ার মতো করে কথা বললেন লোকটি। আমার মনে হয়েছে এটা প্রতিবাদ করা দরকার। তাই করেছি। আমি বলছি থানায় জানাব। তাও নির্বিকার। এরপরই রিজেন্ট পার্ক থানায় জানাই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ (Police) চলে আসে। রঞ্জন মজুমদারকে গ্রেফতারও করে। আমরা এফআইআর (FIR) করেছি।”
আরও পড়ুন – মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব-আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ গড়ছে সুপ্রিম কোর্ট।
ইমন তাঁর ফেসবুক লাইভে জানান, বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) গাছতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাঁরা চারজন ফলের দোকান থেকে ফল কিনছিলেন। সেই সময়ই রঞ্জন নামে ওই ব্যক্তি ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলছিলেন। রঞ্জন ওই ফলের দোকানের উল্টোদিকে বসেছিলেন। প্রথমে ইমনরা খুব একটা পাত্তা দিতে চাননি। তবে অনবরত ওই ব্যক্তি অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )