‘আমাকে পলিটিক্যালি গবেট কেউ ভাবতেই পারেন, আমার কিছু করার নেই’, বললেন মমতা বন্দোপাধ্যায়,বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধানসভায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিধানসভার অধিবেশনের আজকের পর্বের তখন প্রায় শেষলগ্ন। বিধানসভার অন্দরে তখন খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। সেই সময় অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, মুখ্যমন্ত্রী কিছু সংযোজন করতে চান কি না। সেই সময় খাদ্য ও রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের রেশনিং ব্যবস্থার ফারাকের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘আগে অনেকে রেশন তুলে নিত। এক কোটি ৮৬ ভুয়ো নাম ছিল সিপিএম আমলে। আমরা বাদ দিয়েছি। আমাদের এখন রেশন কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর যাঁরা রেশন নেন, তাঁদের আলাদা করে কার্ড দেওয়া হয়েছে।’ সিঙ্গুরের জমি ফেরত দিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথাও এদিন উঠে আসে মমতার কথায়।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে যে সমালোচনা বিরোধী শিবির করছে, তা নিয়েও এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘গণতন্ত্রে সবাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তার কোনও মানে নেই।’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমাকে পলিটিক্যালি গবেট কেউ ভাবতে পারেন। আমার কিছু করার নেই।’
ভিন রাজ্য থেকে পোস্ত কেনার সমস্যার কথাও এদিন উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘সব পোস্ত মাদক নয়। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পোস্ত না হলে আমাদের চলে না। চারটে রাজ্যে পোস্ত চাষ হলে, আমাদের কেন হবে না? কি বিরোধী বন্ধুরা আপনারা তো খান। কেন্দ্রকে লিখুন। অন্য রাজ্যের থেকে আমাদের কিনতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সব রাজ্য পোস্ত চাষ করার অনুমতি পেলে আমরা কেন পাব না?’
আরও পড়ুন – বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে ঢুকেছে টাকা কেষ্ট কন্যার কোম্পানিতে ? কার মাধ্যমে…
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কোথায় পড়বে, সেটা ঠিক ছিল না। আমরা তৃতীয় লিঙ্গকে চাকরির অধিকার দিয়েছি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আগে বালি ও কাকড় মেশানো চাল দিত এফসিআই। এর পাশাপাশি রাজ্যের আলু চাষীদের সমস্যার কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। বলেন, ‘আলুর দাম কম হওয়ায় চাষীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা ৬.৫০ টাকায় আলু কিনছি। পরে দাম বাড়লে ব্যবহার করা হবে। আমাদের কৃষকরা ভাল আছেন। তাঁদের আয় চার গুণ বেড়েছে।’