কোনও নতুন পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ,সিদ্ধান্ত পুর দফতরের,২০২১ সালে ধুপগুড়ি পুরসভা গঠনের পর নদিয়া ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে বেশ কিছু নতুন পুরসভা গঠনের দাবি উঠেছিল। কিন্তু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে সম্প্রতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই কোনও নতুন পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। আপাতত নতুন পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ২০২১ সালে ধুপগুড়ি পুরসভা গঠনের পর নদিয়া ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে বেশ কিছু নতুন পুরসভা গঠনের দাবি উঠেছিল। কিন্তু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে সম্প্রতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই কোনও নতুন পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। পুরসভা গঠনের জন্য কোনও এলাকায় কৃষির উপর নির্ভরশীল নন, এমন অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের বসবাস থাকতে হয়। সেই শর্ত পূরণ করে গত কয়েক বছর ধরে পুরসভা ঘোষণার অপেক্ষায় নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি ও তেহট্ট। সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে সেই পুরসভাগুলির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাকাশিপাড়া প্রবীণ বিধায়ক কল্লোল খাঁ। জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা দিচ্ছে না। নতুন পুরসভা তৈরি করা যাচ্ছে না মূলত এই আর্থিক পরিস্থিতির জন্যই।”
এর জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন চেয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নতুন ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ তৈরি হলে পুরসভাগুলিতে প্রচুর নতুন পদের সৃষ্টি হবে। এমনটা হলে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন পদ সৃষ্টি হতে পারে। তবে একই সঙ্গে কিছু পুরনো পদও বাতিল হবে। বাম জমানায় ১৯৯৫ সালে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজটি আর বিশেষ গতি পায়নি। কারণ, সেই জমানায় একাধিক বার প্রস্তাব অনুমোদন করেনি অর্থ দফতর। প্রস্তাবটি এ বার অর্থ দফতর অনুমোদন করবে বলে আশায় পুর দফতর।
আরও পড়ুন – রাজ্যপালের বার্তার পরেই রাজনৈতিক লক্ষ্য স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেই কালচিনির বিজেপির বিশাল লামা আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁয় পুরসভা গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ জানিয়েছেন, পুরসভা গঠনের জন্য যে নূন্যতম শর্ত রয়েছে, সেই শর্তগুলি পূরণ করতে পারছে না জয়গাঁ। তাই উত্তরবঙ্গের এই জায়গায় পুরসভা গঠন সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, সাতটি কর্পোরেশন সহ রাজ্যে এখন পুরসভার মোট সংখ্যা ১২৮। আগামী কয়েক বছরে পুরসভার সংখ্যা বাড়ারও সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বাজেট বিতর্কের জবাবি ভাষণে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরসভাগুলির ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।