CBI কি তদন্ত করতে জানে না? এজলাসে বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে অফিসার,শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় আবারও সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার সঙ্গে যোগ ছিল আব্দুল খালেকের। তিনি সিবিআই হেফাজতে থাকলেও শান্তিপ্রসাদের কেস ডায়েরিতেই নাম নেই। কেন? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নই তুললেন বিচারক। তিনি বললেন, ‘‘আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না?’’
আইনজীবী সঞ্জয় গুপ্ত জানিয়েছেন, একটা মামলায় কেউ গ্রেফতার হলে, অন্য মামলায় যদি তাঁর নাম থাকে, তা হলে তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়। তাঁকে শারীরিক ভাবে গ্রেফতার না করলেও এমনিই গ্রেফতার হয়ে যান। অভিযোগ, শান্তিপ্রসাদের ক্ষেত্রে সিবিআই এ সব কিছু করেনি। উল্টে তাঁকে হেফাজতে না নিয়ে তাঁর হাতের লেখা পরীক্ষার আবেদন করে সিবিআই। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে বিচারক বলেছেন, তিনি এ সব মেনে নেবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘তাঁকে (শান্তিপ্রসাদ) হেফাজতে না নিয়ে কী করে এই আবেদন? আমি যদি এটা অ্যালাউ করি, তা হলে তা পুরো বেআইনি হবে। বেআইনি প্রেয়ার হচ্ছে। আমি মেনে নেব না।’’
খালেকের মামলায় আগেও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, শান্তিপ্রসাদকে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে দিয়েছেন খালেক। তাঁদের যোগাযোগ ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। বলেছিলেন, ‘‘এসপি সিন্হাকে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই নেই আপনার কাছে…!’’ এ বার ফের খালেক মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করল আদালত।
আরও পড়ুন – শেষ হল টালা জলাধারের সংস্কার,‘১০০ বছরে আর প্রয়োজন পড়বে না’,
আলিপুর জজ কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ‘এজেন্ট’ খালেকের জামিনের মামলা চলছে। তারই শুনানিতে বিচারক জানান, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদকে কেবলমাত্র জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করছে সিবিআই। কিন্তু কেস ডায়েরিতে তাঁর নাম নেই। কেন এমন হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন বিচারক। এর পরেই কড়া সুরে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টি যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষকে জানানো ছাড়া বিকল্প থাকবে না। না হলে আমি সমস্যায় পড়ব।’’ কেন এই মামলাতে শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে না বা হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারক।